সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের গৌরীশঙ্কর দত্ত ও অয়ন দত্তের পরে এ বার জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র এবং তেহট্ট ব্লক সভাপতি বিশ্বরূপ রায় ওরফে ডাকুর নামেও বেনামা পোস্টার পড়ল।
রবিবার তেহট্টের ব্যস্ততম এলাকায় সাঁটা এই সব পোস্টারে জেলা সভানেত্রী ও ব্লক সভাপতি ‘বিজেপির দালাল’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আরও দাবি, ‘তৃণমূলের নামে ব্লক ও জেলা সভাপতি আইসিডিএসের নিয়োগে ঘুষ নিয়েছেন’। আর এক পোস্টারে লেখা— ‘তৃণমূলের জেলা ও ব্লক সভাপতি যদি বিজেপি হয় তাহলে আমরা তৃণমূল করব’। নীচে আগের বারের মতই লেখা ‘জনগণের কণ্ঠ’।
কিছু দিন আগে তেহট্ট আদালতের সামনে তৃণমূল বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ও তাঁর ছেলে অয়নের নাম করে লাগানো হয়েছিল পোস্টার। যেখানে তৃণমূলের বড় নেতারা দল পরিবর্তন করলে বিজেপির পুরনো নেতারা গুরুত্বহীন হয়ে যাবেন, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। এ দিনের পোস্টারে আবার লেখা হয়েছে, ‘ডাকু রায় অর্জুন বিশ্বাসের অশুভ আঁতাঁত মানছি না মানব না’। অর্জুন বিশ্বাস বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য।
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দত্তের বাড়ি সংলগ্ন এলাকাতেও তাঁর এবং মহুয়ার নামে বিষোদ্গার করে দেওয়া হয়েছে পোস্টার। সঞ্জয় বলেন, “কারা এই কাজ করেছে তা জানা নেই। তবে যা লেখা রয়েছে তাতে বাংলার সংস্কৃতি ফুটে উঠছে না। আমি চাই, তাদের শুভবুদ্ধি হোক।”
বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই সব পোস্টার দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতা অর্জুন বিশ্বাসের দাবি, “তৃণমূলের অভ্যন্তরে যে কোন্দল চলছে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।
বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই আমার সঙ্গে তৃণমূল নেতার নাম জড়ানো হয়েছে।”
তৃণমূলের বিশ্বরূপ আবার বলেন, “আমরা একটাই দল করি, সেটা তৃণমূল। রাতের অন্ধকারে যাঁরা এ কাজ করছেন, তাঁরা ভাল করছেন না। সাহস থাকলে দিনের আলোয় সবার সামনে এসে কথা বলুন।”
চেষ্টা করেও মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র দেবাশিস রায় বলেন, “যে মহিলা বিজেপিকে জেলাছাড়া করার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে লড়ছেন, তাঁর সম্পর্কে এ ধরনের কথা বাতুলতা ছাড়া কিছু নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy