Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Post Office

পোস্টমাস্টারের বাড়িতেই ডাকঘর

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেচপোতা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে পোস্ট অফিস রয়েছে।

পাড়ার পোস্ট অফিসে তালা। নিজস্ব চিত্র

পাড়ার পোস্ট অফিসে তালা। নিজস্ব চিত্র

সন্দীপ পাল
নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০৩
Share: Save:

গ্রামে পোস্ট অফিস আছে, পোস্টমাস্টারও আছেন। কিন্তু পোস্ট অফিস তালা বন্ধ হয়েই পরে রয়েছে বছর খানিক ধরে। নাকাশিপাড়ার মেচপোতা গ্রামে পোস্ট মাস্টারের বাড়িতেই চলছে পোস্ট অফিসের কাজকর্ম!

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেচপোতা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে পোস্ট অফিস রয়েছে। সেখানে পাকা ইটের ঘরও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বছর দেড়েক আগে পোস্ট মাস্টার আসরাফ মল্লিক পাশের পাড়ায় তাঁর নিজের বাড়িতে কম্পিউটারের কাজ শিখবেন বলে পোস্ট অফিস থেকে অনেক যন্ত্রপাতি তুলে নিয়ে যান। তার পর দেড় বছর কেটে গেলেও তিনি আর মেচপোতা পোস্টঅফিসে আসেননি। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিজের বাড়িতে তিনি পোস্টঅফিস চালান নিজের স্ত্রী ও একটি পাড়ার ছেলেকে দিয়ে! গ্রাম বাসিন্দারা বলেন, গ্রামের মানুষ পোস্ট অফিসে টাকা সঞ্চয় করতে চান। কিন্তু এমন আজব পোস্ট অফিসে তা করার সাহস পান না।

আসরাফ মল্লিকের বাড়ি গিয়ে দেখা গেল, সামনে লেখা রয়েছে—‘মেচপোতা শাখা অফিস’। সেই সময়ে পোস্ট মাস্টার বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী লুথফা বিবি বলেন, "উনি তো হাতিশালায় অন্য পোস্ট অফিসে থাকেন। এই বাড়ির পোস্ট অফিস আমি পাড়ার একটা ছেলেকে নিয়ে চালাই।’’ আপনি কী করে পোস্ট অফিস চালাতে পারেন? এর কোনও সঠিক যুক্তি দিতে পারেননি তিনি।

পরে পোস্ট মাস্টার আসরাফ মল্লিককে ফোন করলে তাঁর যুক্তি, " আমি একই সঙ্গে হাতিশালা ও মেচপোতা শাখা পোস্ট অফিসের দায়িত্বে আছি। কর্মীর অভাবে বাড়িতে মেচপোতা পোস্ট অফিস স্থানান্তর করেছেন। এই বিষয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মেচপোতা পোস্ট অফিসে নতুন কর্মী নিয়োগ হয়েছে শুনেছি। তবে এখনও কেউ যোগ দেননি। আমার স্ত্রী সেখানে দায়িত্বে আছেন। এ ব্যাপারে উপরমহলের অনুমতি করিয়ে নিয়েছি। আমি প্রতি দিন সকালে নিয়ম করে বাড়ির পোস্ট অফিসে বসি আবার বেলা হতেই হাতিশালা পোস্ট অফিসে ছুটি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Post Office Nakashipara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE