প্রতীকী ছবি।
স্মৃতির দেশ বাংলাদেশ। কত পরিবার সেখান থেকে এসে এ দেশে ঘর বেঁধেছেন। কিন্তু পূর্বপুরুষদের দেশকে কি ভোলা যায়? সীমান্তের গ্রাম-গঞ্জে টিভির অ্যান্টেনায় ধরা পড়ত বাংলাদেশি চ্যানেলও। বাংলাদেশি তারকারা তাই সমান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায়। ভারতীয় তারকাদের পাশাপাশি বাংলাদেশি তারকারা সমান ভাবে জনপ্রিয় এখনও মুর্শিদাবাদের সীমান্ত জুড়ে। উল্টো দিকে নব্বইয়ের দশকে সীমান্ত এলাকায় নাইট উৎসবে প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক আসতেন চোরাপথে। ফলে অলিখিতভাবে এই নাইট উৎসবকে ঘিরে দুই বাংলা মিলে যেত রাতের অন্ধকারে।
বাংলাদেশি তারকা ফেরদৌস থেকে রাজ্জাক, রুনা লায়লা থেকে সাবিনা ইয়াসমিন ছিল জনপ্রিয়। অন্যদিকে বাংলাদেশি দর্শকদের কাছে সেই সময়ে প্রসেনজিৎ চিরঞ্জিত দেবশ্রী শতাব্দী রায়দের জনপ্রিয়তাও ছিল আকাশছোঁয়া। ফলে সীমান্তের বেড়া টপকে সন্ধ্যার পর থেকে বাংলাদেশি দর্শক লাইন দিত এপারের নাইট উৎসবের মঞ্চের দিকে। সীমান্তের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলছেন, "একটা সময় বাংলাদেশী দর্শকরা রুটি তরকারি সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যার সময় চলে আসতো এপারের অনুষ্ঠানস্থলে। আবার ভোরের আলো ফোটার আগেই তারা রওনা দিত দেশে।’’ তবে বদলে গিয়েছে সীমান্তের চেহারা। কিন্তু বাংলাদেশি তারকাদের জনপ্রিয়তা এখনও থেকে গিয়েছে এপার বাংলার সীমান্ত ঘেষা অঞ্চলে। এখনও রাতের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তারকারা থাকলে মানুষ ভিড় জমান তাদের দেখতে। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতিতে উৎসব বন্ধ। দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন শানু মণ্ডল। জলঙ্গির পেশাদার এই কারবারি বলছেন, ‘‘এ বছরও বাংলাদেশ থেকে কিছু শিল্পী যোগাযোগ করেছেন, কিন্তু তাঁদের সটান না বলে দেওয়া ছাড়া কী করব?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy