Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

সব জেনেও চুপ পুরসভা, নোংরা জলে যাতায়াত

বাসিন্দাদের দাবি, সমস্যার অন্ত নেই পুরসভায়। কখনই নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় না। কোথাও পানীয় জলের আকাল। এর জন্য পুর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতাকেই দায়ী করছেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কান্দি শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ০৩:১৫
Share: Save:

নিয়মিত সংস্কার হয় না নিকাশি নালা। তাই সামান্য বৃষ্টি হলে নোংরা জলের বান ডাকে কান্দিতে। বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরবাসীদের দাবি, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে বেগ পেতে হয় তাঁদের। ভরসা করে বাইরে ছাড়তে পারেন না বাড়ির বৃদ্ধ-বাচ্চাদের।

অভিযোগ, আবর্জনা জমে অনেক নালা মজে গিয়েছে। দুর্গন্ধে পথ দিয়ে চলা দায় হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

বাসিন্দাদের দাবি, সমস্যার অন্ত নেই পুরসভায়। কখনই নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় না। কোথাও পানীয় জলের আকাল। এর জন্য পুর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতাকেই দায়ী করছেন তাঁরা।

এখন শহরের সবচেয়ে মাথাব্যথা নিকাশি নালা নিয়ে। নিয়মিত সংস্কার না হওয়ায় নোংরা জল বয়ে যাচ্ছে রাস্তার উপর দিয়ে। যেমন, কান্দি পুরসভার ছাতিনা-কান্দি এলাকায় নর্দমা আবর্জনা পড়ে আছে। ওই নর্দমা দীর্ঘদিন পরিষ্কার না হওয়ার কারণেই নর্দমার নোংরা জল বয়ে যায় রাস্তা দিয়ে।

ছাতিনার বাসিন্দা বিমল চক্রবর্তী জানান, প্রায় এক বছর ধরে নর্দমায় জমে যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কার না করার কারণেই নর্দমাগুলি মজে গিয়েছে। বাড়ির সামনের দিয়ে দিনভর ওই নোংরা জল বয়ে যাচ্ছে। সেই জল ঘেঁটে যাতায়াত করতে হয় তাঁদের। ভারি বৃষ্টি হলে নর্দমা আবর্জনা-জল কখনও বাড়ির ভিতরেও ঢুকে পড়ে। পুরসভাকে বহুবার জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আরও এক বাসিন্দা মমতা পোদ্দার বলেন, “বাড়িতে বছর তিনেকের নাতি আছে। বাড়ির পাশে রাস্তা কিন্তু সবসময় সেখান দিয়ে নোংরা জল বয়ে যাচ্ছে। কেন ব্যবস্থা নেয় না বুঝি না।” বাসিন্দাদের দাবি, সমস্যার কথা যে পুরসভা জানে না এমন নয়। কিন্তু তার পরেও যে কেনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না সেটাই বুঝতে পারছেন তাঁরা।

বাসিন্দা রেখা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “নালা থেকে এমন দুর্গন্ধ ওঠে যে জানালা খোলা যায় না।’’ বাসিন্দা গোপাল দাস বলেন, “শহর জুড়ে মশার উপদ্রপ কমাতে স্বাস্থ্য দফতর বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাতে জল না জমে সেই বিষয়ে সচেতনা করছে। আবার সেই শহরের নালা সংস্কারের অভাবে সারা বছরই জল জমে থাকছে। তা হলে ওই সচেতনার মানে কী!”

ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান সান্ত্বনা রায় বলেন, “বর্ষার আগে নিকাশি নালাগুলির আবর্জনা পরিস্কারের জন্য বাড়তি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে কেন এমন ঘটনা ঘটছে সেটা দেখব। কোনও কাউন্সিলরও নালা সংস্কারের কথা জানাননি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy