জমি বিবাদে রাজনৈতিক নেতাদের নাক গলানো নতুন কিছু নয়। কখনও প্রত্যক্ষ ভাবে, কখনও আড়ালে থেকে কলকাঠি নাড়ানোয় নাম জড়িয়েছে নেতাদের। সেই তালিকায় এবার জুড়ল নাকাশিপাড়ার পাকাটিবাড়ি ও কৃষ্ণনগরের সুকান্তপল্লির নাম।
শুক্রবার কৃষ্ণনগরের সুকান্তপল্লিতে পুরসভার জমির দখলদারিকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটে। ঘটনায় জখম হন দু’জন। মারধরের অভিযোগে ওই রাতেই তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইপো গৌরব রায়কে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার কৃষ্ণনগরে জেলা আদালতে তোলা হলে তিনি জামিনে ছাড়া পান।
সুকান্তপল্লিতে কৃষ্ণনগর পুরসভার ১০০ বিঘা মতো জমি রয়েছে। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের উত্তম রায় টাকা নিয়ে সেই জমিতে লোক বসিয়ে দিচ্ছিলেন। তা জানতে পেরে মাস ছয়েক আগে পুরসভা ওই জমিতে যাতে কেউ ঘরবাড়ি না করে তার জন্য ফ্লেক্স টাঙায়। ক’দিন পর ফ্লেক্সই গায়েব হয়ে যায়। ফের জমি বেদখল হতে থাকে। শুক্রবার রাতে কয়েক জন সেই জমি দখল করতে যান। সে সময় প্রধানের ভাইপো-সহ আরও কয়েক জন তাদের মারধর করে। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত গৌরব রায়কে আটক করে। পরে অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান অসীমকুমার সাহা বলছেন, “ওই প্রধান টাকার বিনিময়ে জমি লোক বসাচ্ছিলেন। স্থানীয় বিধায়ক অবনীমোহন জোয়ারদারকে বিষয়টি জানাই। তাঁর হস্তক্ষেপে জমি বেহাত হওয়া বন্ধ হয়।” যদিও টাকা নিয়ে জমিতে লোক বসানোর কথা অস্বীকার করেছেন ওই প্রধান।
এ দিকে, এ রাতেই নাকাশিপাড়ার পাটিকাবাড়িতে জমি সংক্রান্ত এক পুরনো বিবাদকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মারামারিতে জখম হন উভয়পক্ষের ১১ জন। প্রত্যেককেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। জখম বিজেপি কর্মী গোবিন্দ সরকার বলছেন, বছর খানেক আগে পাটিকাবাড়ি স্কুলপাড়ায় একটি খাস জমি দখল করতে যায় তৃণমূলের লোকজন। বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। শুক্রবার রাতে একই কারণে তাঁদের চড়াও হয় তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করে পাটিকাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের বৃত্তিশ মজুমদার বলেন, “এটা পারিবারিক গণ্ডগোল। তাতে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।” ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy