Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

পাশে দাঁড়াতে ছুটলেন নেতারা

শনিবার রাতে পুলিশের লাঠিচার্জের পর কল্যাণী থেকে চলে যান পার্শ্বশিক্ষকেরা। তবে ওই রাতেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, রবিবার সকালেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পার্শ্বশিক্ষকেরা কল্যাণীতে আসবেন।

প্রতিবাদ মিছিলে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ (বাঁ দিকে), অবস্থান বিক্ষোভ সমর্থনে বক্তৃতা করছেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী (মাঝে) ও বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। রবিবার কল্যাণীতে। ছবি: প্রণব দেবনাথ

প্রতিবাদ মিছিলে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ (বাঁ দিকে), অবস্থান বিক্ষোভ সমর্থনে বক্তৃতা করছেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী (মাঝে) ও বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। রবিবার কল্যাণীতে। ছবি: প্রণব দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০৩:২৩
Share: Save:

পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনে রবিবার দিনভর আনাগোনা চলল ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের। অর্জুন জানান, পার্শ্বশিক্ষকদের এই আন্দোলনে পাশে আছে বিজেপি।

শনিবার রাতে পুলিশের লাঠিচার্জের পর কল্যাণী থেকে চলে যান পার্শ্বশিক্ষকেরা। তবে ওই রাতেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, রবিবার সকালেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পার্শ্বশিক্ষকেরা কল্যাণীতে আসবেন। সেই মতো এ দিন সকাল থেকে বিভিন্ন ট্রেনে চেপে তাঁরা কল্যাণী স্টেশনে হাজির হন। পুলিশের হাতে মার খাওয়ার পরেই ওই শিক্ষকেরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থন চেয়েছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে রাজনৈতিক সমর্থনের দরকার রয়েছে। ফলে কোনও বিরোধী দল তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাইলে স্বাগত। সেই প্রস্তাবই লুফে নেয় বিজেপি।

শনিবার থেকেই কল্যাণীর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদার দাবিতে জড়ো হওয়া পার্শ্বশিক্ষকদের পাশে দাঁড়ান। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ স্টেশনে যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন, বিজেপির রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মানবেন্দ্র রায়। সিপিএমের প্রতিনিধি দলও যায় স্টেশনে। সকালের দিকে পুলিশ স্টেশন চত্বর থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে হঠিয়ে দিয়েছিল। এরপরই তাঁরা প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের সঙ্গে মিশে যান। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেন। পশ্চিমবঙ্গ পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম পেরিয়ে গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তার দিকে দলবল নিয়ে চলে যান। পৌনে ১টা নাগাদ হাজার তিনেক শিক্ষক স্টেশন থেকে মিছিল করে থানার দিকে যান। মিছিলের সামনে ছিলেন অর্জুন। তিনি পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে থানায় বসে কথা বলেন।

সেখান থেকে বেরিয়ে অর্জুন বলেন, ‘‘এই সরকার পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করছে। কলকাতা থেকে ওদের মেরে তাড়িয়েছে। কল্যাণীতেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজহার এ তৌসিফের নেতৃত্বে মহিলা শিক্ষকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এরপর কলকাতায় ওরা আন্দোলন করলে বিজেপি পুরো মাত্রায় সমর্থন দেবে।’’

বিকেলে আন্দোলনস্থলে যান বিজেপির রানাঘাট কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ ঘোষ এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলার নিন্দা করে তাঁদের দাবি প্রতি সমর্থন জানান। দিনভর আন্দোলনের পর এ দিন সন্ধ্যায় কল্যাণী থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। ভগীরথ বলেন, ‘‘কল্যাণী থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ করল সে দিকে আমরা নজর রাখব। এরপরে কলকাতায় লাগাতার অনশন আন্দোলন চলবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Violence Para Teachers Police Kalyani University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy