ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
পুর-ভোটে কাঠি পড়ল।
সেই সঙ্গে, দুশ্চিন্তার কিঞ্চিৎ ঘামও জমল শাসক দলের কপালে। কান্দি পুরসভা আদতে কংগ্রেসের দখলে থাকলেও, গত দু’বছরে একে একে যখন জেলার অন্য পুরসভাগুলি ঢলে পডেছিল তৃণমূলের দিকে তখন সেই স্রোতে গা ভাসিয়েছিল কান্দি পুরসভার কংগ্রেস নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও। এ বার সেই সব ‘দলবদলু’ তাবড় নেতাদের অনেকেই চেনা ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারছেন না। আর তা নিয়েই কান্দি শহরের আনাচকানাচে শুরু হয়েছে জল্পনার তরজা। ওই পুরসভায় বর্তমান পুরবোর্ডের সহকারী পুরপ্রধান অজয় বড়াল, দলের মহকুমা সভাপতি গৌতম রায়, পরিচিত নেতা গুরুপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কিংবা সুব্রত চক্রবর্তীরা কেউই এ বার নিজেদের চেনা ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারছেন না।
আশির দশক থেকে টানা কাউন্সিলর হয়ে আসছেন অজয় বড়াল। তাঁর ওয়ার্ড নম্বর ৪। ওই ওয়ার্ডে ২০১০ সালে পুরভোটে মহিলা হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তাঁর স্ত্রীকে তৃণমূলের গীতারানি কুণ্ডু হাড়িয়ে ছিলেন বড় ব্যবধানে। কিন্তু ২০১৫ সালে অজয় ফের কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে ওই ওয়ার্ডটি গীতার ছেলের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেন। পরে ‘নিয়ম মেনে’ অজয় তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার সেই ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষণের গেরোয় পড়ায় সেখানে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল বলে দলের অন্দরের খবর। গুরুপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডটিও এ বার সংরক্ষণের গেরোয় তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। একই অবস্থা গৌতম রায়ের। ২০১৫ সালে নিজের ৬ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিল জাতিভুক্তদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায়, রসড়া এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন গৌতম। এ বার সেই ওয়ার্ডটি মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় তাঁর ভাগ্যে কোন ওয়ার্ডের শিকে ছেঁড়ে সে দিকেই তাকিয়ে আছন অনেকে।
পুরপ্রধান অপূর্ব সরকার ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তবে কংগ্রেসের টিকিটে। কানাঘুষো ছিল এ বার ওয়ার্ড বদলে নিজের বাড়ি ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে পারেন অপূর্ব। কিন্তু ওই ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy