—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শার্ট-প্যান্ট পরে বছর কুড়ির এক যুবক দাঁড়ালেন গ্যারাজের সামনে। ক্ষণিকের মধ্যে হয়ে গেল বাইকের হাতবদল। অর্ধেক দামে কেনা চোরাই বাইকের নম্বর প্লেট খুলে ফেলা হল মুহূর্তের মধ্যে। ছাপাখানায় তৈরি হওয়া ভুয়ো নম্বর প্লেট লাগিয়ে আরটিও (পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক অফিস)-র দালালচক্রের মাধ্যমে সম্পূর্ণ রেজিস্ট্রেশন। চোরাই বাইক বিক্রি হয়ে যায় ন্যায্য দামে। কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে এমনই কারবার চলছে বলে অভিযোগ গিয়েছিল পুলিশের কাছে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েক জনকে সম্প্রতি গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ যে তথ্য পেয়েছে, তা রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুরপথে আসা চোরাই বাইক আইনি পথে বিক্রি করতে মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক ছাপাখানায় তৈরি করা হত ভুয়ো নম্বর প্লেট। তার পরে অর্ধেক দামে কেনা বাইকের আসল নম্বর প্লেট খুলে ফেলে লাগিয়ে দেওয়া হত ভুয়ো নম্বর প্লেট। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই আরটিও থেকে অন্য নামে বাইকের রেজিস্ট্রি করিয়ে দেওয়া হত। এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা উঠে এসেছে, তাতে পুলিশের অনুমান, এটি একটি সংগঠিত চক্র। এর সঙ্গে অনেকেই জড়িয়ে রয়েছেন। তাই ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে আর কে কে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) রাসপ্রীত সিংহ এই প্রসঙ্গে বলেন, “জেলায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চোরাই বাইক চক্রের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে জেলা পুলিশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy