প্রতীকী ছবি।
বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি, লাগাতার টাকাপয়সা চেয়ে চাপও দিতেন। বেশ কয়েক বার টাকাপয়সা দেওয়া হলেও তাঁদের অত্যাচার কমেনি। সে জন্যই মেয়েকে ছক কষে খুন করেছেন তাঁরা। শুক্রবার নদিয়ার শান্তিপুরের এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর এমনই দাবি করলেন তাঁর বাপেরবাড়ির সদস্যরা। এই অভিযোগে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হলে ওই বধূর শ্বশুরবাড়ির দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তিপুর থানার গো-ভাগাড় মোড় সংলগ্ন এলাকায় সোনালি দাস নামে এক বধূর মৃত্যুর পর খুনের অভিযোগ করেছেন তাঁর মা-বাবা। বছর একুশের সোনালিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎই শান্তিপুর হাসপাতলে নিয়ে যান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বেশ কিছু ক্ষণ প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই বধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, সোনালির বাপেরবাড়ি কলকাতার বিধাননগরে। তিন বছর আগে শান্তিপুর গো-ভাগাড় এলাকার যুবক সৌভিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।
সোনালির মা-বাবার দাবি, মেয়েকে খুন করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সোনালির স্বামী সৌভিক দাস-সহ তাঁর মা-বাবার দিকে অভিযোগ আঙুল তুলেছেন মৃতার মা শ্যামলী মাইতি। তাঁর দাবি, ‘‘তিন বছর ধরেই আমাদের উপর টাকাপয়সার জন্য চাপ দিচ্ছে জামাই। গত দু’বছরে তা আরও বেড়ে গিয়েছিল। জামাইয়ের কোনও বন্ধুবান্ধব আমাদের বাড়িতে ফোন করে মেয়ের মৃত্যুর খবর দেয়। ফোনে বলেছিল, আমার মেয়ের হার্টে জল জমেছে। তা-ই যদি হয়, তবে গলায় ফাঁস দেওয়ার দাগ কী ভাবে এল? পরিকল্পনা করে মেয়েকে মেরে ফেলেছে। ওরা যেন শাস্তি পায়।’’
ওই বধূর মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। শনিবার ওই বধূর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy