দন্ত করে নিহত সত্যেন চৌধুরীর বাড়ি থেকে বের হচ্ছে পুলিশ। ছবি গৌতম প্রামাণিক।
বহরমপুরে নিহত তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরীর উপর হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। যদিও তদন্তের স্বার্থেই এ নিয়ে পুলিশ মুখে কুলুপ এঁটেছে।
পুলিশের একটি সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন তিন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাদের অতীত অপরাধের ব্যাপারেও বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তারা দ্রুত গ্রেফতার হবে বলেও আশাবাদী তাঁরা। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব সোমবার বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় তিন জন জড়িত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পরে সব জানানো হবে।’’ পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সত্যেন জমি-জমার ব্যবসা এবং প্রোমোটিংয়ে যুক্ত ছিলেন। ব্যবসায়িক কিংবা ব্যক্তিগত শত্রুতায় খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
রবিবার ভরদুপুরে নিজের বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে নির্মীয়মাণ আবাসনে আততায়ীর গুলিতে খুন হন তৃণমূল নেতা সত্যেন। ওই দিন রাতেই নিহত নেতার এক আত্মীয় তিন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় এফআইআর করেছেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও বহরমপুর শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় চাপা আতঙ্ক রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বহরমপুর থানার পুলিশ এবং জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা দফায় দফায় চালতিয়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শেন যান। নিহত নেতার স্ত্রী শুক্লা চৌধুরী, তাঁর মেয়ে এবং ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ঘটনার সময় যে চেয়ারে বসে ছিলেন সত্যেন, সেটি এবং আরও একটি চেয়ার পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
এ দিন শুক্লা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে সত্যেনের ঘনিষ্ঠ শম্ভুরঞ্জন বসু বলেন, ‘‘যারা খুনে জড়িত তারা সত্যেনের অতি পরিচিত বলেই মনে হচ্ছে। কারও সঙ্গে ওঁর কোন বিবাদ ছিল না। মাসচারেক আগে চালতিয়া বিল লাগোয়া সুতির মাঠে একটি জমি নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। তবে পরে তা মিটেও যায়। তার পরেও ও কেন খুন হল, তা নিয়ে আমরাও ধন্দে রয়েছি। দোষীদের গ্রেফতার করা গেলেই সবটা জানা যাবে।’’
এ দিন দুপুরে বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘দিনে-দুপুরে সত্যেন খুন হয়ে গেল। এর চেয়ে চিন্তার, উদ্বেগের কিছু হয় না। প্রশাসন নিশ্চুপ, তৃণমূলও চুপ। তাদের দলের কর্মী খুন হলেন, এ নিয়ে প্রতিবাদ হল কই!’’ অধীরের দাবি, ‘‘প্রশাসন সব কিছু জানে। সত্যেন চৌধুরী খুন হল, জানে না? ও দিকে জাকিরকে (তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন) মারার চেষ্টা হল। কোনওরকমে তিনি বেঁচে গিয়েছেন। সত্যেন খুনই হয়ে গেল। তা নিয়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ কি দেখেছি?’’ এ নিয়ে তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘বিজেপি এবং সিপিএমের বন্ধু অধীর চৌধুরীর কোনও কথাকে তৃণমূল গুরুত্ব দেয় না। তিনি কী বললেন, তাতে কিছু যায় আসে না। আমাদের পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতি আস্থা রয়েছে। তদন্ত করে পুলিশ নিশ্চয় খুনিদের
গ্রেফতার করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy