মেডিক্যাল কলেজের সামনের একটি হোটেলে নোটিস। নিজস্ব চিত্র।
জ্বালানির অগ্নিমূল্যের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সেই চড়া দামের প্রভাব পড়ছে হোটেল থেকে রেস্তোরাঁ, এমনকি পাইস হোটেলেও। আনাজ সহ অন্য সব জিনিসের আগুন দামে এখন সেখানে ভাত, রুটির দাম বেশ চড়া। হোটেল মালিকদের কেউ মার্চের মাঝামাঝি কেউ এপ্রিলের শুরুতে ‘বাধ্য হয়ে’ দাম বাড়িয়েছেন খাবারের।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাসপাতাল থেকে প্রশাসনিক কাজকর্ম কিংবা হাট বাজারে যাঁদের নিত্যদিন সদরে আসতে হয়, তাঁদের দুপুরের খাওয়ার খরচ বেড়ে গিয়েছে।
মোহনা বাসস্ট্যান্ড ছাড়িয়ে কেএনরোডের একটি পাইস হোটেলে পাওয়া যেত আলুপোস্ত কিংবা ঝিঙে পোস্ত। এখন আর তা পাওয়া যায় না। ওই এলাকার হোটেলগুলোর কোথাও তরকারি ভাত ৪৫ টাকা তো কোথাও ৫০ টাকা। প্রতি প্লেট ডিম ভাত ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। প্রতি প্লেট রুই মাছ ভাতের দাম ৭০ টাকা। আনাজ দিয়ে ৭৫ টাকা। কাতলা মাছ দিয়ে এক প্লেট ভাতের দাম ৮০-৮৫ টাকা দাম। প্রতি পিস মাছ কোথাও তিরিশ কোথাও চল্লিশ টাকা। তবে কোথাও ইলিশের উল্লেখ নেই। সেখানে চার পিস মুরগির মাংসের দাম ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। খাসির মাংসে চার টুকরো পাতে দিতে হোটেল মালিক দাম হাঁকাচ্ছেন তিনশো টাকা।
বাসস্ট্যান্ড চত্বরের এক হোটেল মালিক সঞ্জয় চক্রবর্তীর দোকানে প্রতি প্লেট রুই মাছ ভাত ৮০ টাকা, মাংস ভাতের দাম একশো টাকা। তিনি বলছেন, “এক কেজি রুই মাছ দু’শো টাকা কেজি। এক টিন ভোজ্য তেলের দাম প্রায় ২ হাজার ৭০০টাকা। এক টিন পাম তেলের দাম ২ হাজার ৫৯০ টাকা। গ্যাসের দাম, আনাজের দাম তো বাকি থাকলই।”
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাইরে স্বর্ণময়ী এলাকায় সারি সারি পাইস হোটেল। সেখানে দিনের পাশাপাশি রাতেও খরিদ্দারের চাপ বেশি। তাঁদের একাংশ জুনিয়র চিকিৎসক থেকে নার্সও আছেন। সেখানে রাতের রুটি তরকার দামও বেড়েছে। চল্লিশ টাকা প্রতি প্লেট তরকা এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম তরকা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা প্রতি প্লেট। এক হোটেল মালিক সুজিত দাস বলেন, “দাম না বাড়ালে এতগুলো কর্মচারী নিয়ে চলব কী করে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy