ঝাঁ চকচকে রাজ্য সড়ক। — ফাইল চিত্র।
করোনা কাল কাটিয়ে দেখতে দেখতে কেটে গেল আরও একটা বছর। এক বছরেই নানা উত্থান পতন ঘটেছে ডোমকলে। পাওয়া না পাওয়ার তালিকা হয়েছে লম্বা। এ বছরেই দীর্ঘ অস্বস্তির পর বহরমপুর থেকে ডোমকল পর্যন্ত ঝাঁ চকচকে রাজ্য সড়ক পেয়েছে ডোমকল। একেবারে আধুনিক আদালতের বাড়িও প্রায় শেষের পথে।
তবে এক দিকে যেমন পাওয়া আছে, অন্য দিকে না পাওয়ার তালিকাটাও কম নয়। যেটা নিয়ে ডোমকল এলাকার বাসিন্দারা সবথেকে বেশি স্বপ্ন দেখেছিল সেই বকশিপপুর সেতু না পাওয়াই থেকে গেল। দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ডোমকলের স্টেডিয়াম আজও হল না। হল না রবীন্দ্র-নজরুল ভবন। হল না শিয়ালমারি নদীর পাড় দিয়ে সৌন্দর্যায়ন।
উত্থানের তালিকায় মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় নবম স্থান করে নিয়েছে ডোমকলের মেয়ে মেমোরি মিম জাহান। অন্যদিকে রাজনীতিতেও উত্থান পতন হয়েছে এ বছর বেশ কিছুটা। বিশেষ করে জলঙ্গির পদ্মা পাড়ের রাজনীতিতে তার আঁচ বেশি। উত্থানের মতো পতনও দেখা গিয়েছে।
রানিনগর এক ব্লকের এক সময়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা এ বছরের শেষ সময়ে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে।
কিন্তু একই সঙ্গে এই এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রের দাপটে চিন্তায় সাধারণ মানুষ। যখন তখন কেন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ দাবি করেছে, তল্লাশি চলছে।
ডোমকলের বাসিন্দারা বলছেন, পাওয়ার তালিকা খুব সামান্য। কিন্তু হিসেব করলে প্রায় এক দশকের কাছাকাছি সময় পুরসভা হয়েছে অথচ তার পরিষেবা পঞ্চায়েতের সমতুল্য। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক নিকাশি নালা। শিশুদের জন্য তৈরি পার্ক এখন ব্যবহারের অযোগ্য। অনেক সরঞ্জাম হারিয়ে গেছে বিগত এক বছরে। যদিও ডোমকলের বিধায়ক তৃণমূলের জাফিকুল ইসলাম শুনিয়েছেন বেশ কিছু আশার কথা। তাঁর দাবি, ‘‘রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের কিছুটা কাজ হয়েছে, বাকি কাজের জন্য এক কোটি উনিশ লক্ষ টাকা দরকার। সেই টাকা পাওয়ার জন্য একটা তদবির চলছে।’’ বকশিপুর ব্রিজ? বিধায়কের বক্তব্য, ‘‘কাজ না করতে চাওয়ায় সমস্যা হয়েছিল। তবে টেন্ডার হয়ে গিয়েছে, আশা করা যায় ওই সমস্যা ও মিটে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy