প্রতীকী ছবি।
প্রায় কুড়ি দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের তারকনগর গ্রামের বাসিন্দা মাখন বিশ্বাস(৪৯)। শুক্রবার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে তাঁর রক্তের এনএস-১ পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ হয়েছিল। কারও ডেঙ্গি হয়েছে কিনা বুঝতে প্রাথমিক ভাবে এই টেস্টকেই মাপকাঠি ধরা হয়। মাখনবাবুরও ডেঙ্গির চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু এলাইজা পরীক্ষা না হলে ডেঙ্গির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না তাই তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গির উল্লেখ করেননি চিকিৎসকেরা।
পারিবারিক সূত্রের খবর, প্রথমদিকে জ্বরকে গুরুত্ব দেননি মাখনবাবু। পরে কমছে না দেখে এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে যান। তাঁর দেওয়া ওষুধে কাজ না-হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ৬ আগষ্ট শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে সিসিইউতে চিকিৎসা শুরু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। জ্বরের পাশাপাশি ছিল প্রবল কাশি। তাঁর এনএস-১ পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। বিভিন্ন প্রত্যঙ্গের ভিতরে রক্তক্ষরণও শুরু হয়েছিল। চিকিৎসকদের অনুমান, রক্তক্ষরণ হয়েছিল মস্তিষ্কেও। কিন্তু সিটি স্ক্যান করে নিশ্চিত হওয়ার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়। এলাইজা পরীক্ষার সময়েও পাওয়া যায়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, তাঁকে মৃত্যুর আগে ১২ ইউনিট প্লেটলেট, ২ ইউনিট রক্ত ও ২ ইউনিট প্লাজমা দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালের সুপার শচীন্দ্রনাথ সরকার বলছেন, “আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু রোগীকে হাসপাতালে আনতেই অনেক দেরি হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “এনএস-১ রিপোর্ট পজ়িটিভ এলেই ডেঙ্গি বলে দেওয়া যায় না।” মৃতের ভাইপো প্রণব বিশ্বাসের আফশোস, “প্রথমে অবহেলা করে ফেলে না-রেখে ডাক্তার দেখালে হয়তো উনি মারা যেতেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy