ছবি পিটিআই
পুজোর সময় যাতে করোনা না ছড়ায়, তাই মণ্ডপে ঢোকাই নিষিদ্ধ হল। রাজ্যের সমস্ত পুজো মণ্ডপ দর্শকহীন থাকবে বলে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে সোমবার। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ছোট-বড় সমস্ত মণ্ডপের চারপাশে ৫ থেকে ১০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ব্যারিকেড করে দিতে হবে। সেই অংশকেই ‘নো-এন্ট্রি’ ঘোষণা করতে হবে। ওই ব্যরিকেড করা অংশে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। আজ, মঙ্গলবার চতুর্থী তার আগে আদালতের এই রায় শুনে জেলার পুজো উদ্যোক্তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করতে শুরু করেছেন।
উদ্যোক্তাদের একটি অংশ জানাচ্ছেন, এই ভয় ছিলই। করোনা রুখতে এ ছাড়া উপায়ও ছিল না। কেননা, মণ্ডপে ভিড় হতই। তাঁদের অনেকে বলছেন, মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা এক রকম অসম্ভবই হত। তাঁদের অত লোকবল নেই। তা ছাড়া, সাধারণ মানুষ অত বিধি নিষেধ মানতেও চাইতেন না। পুলিশের পক্ষেও প্রতিটি মণ্ডপে সারা ক্ষণ নজর রাখা এক রকম অসম্ভব। তাই এই রায়ের ফলে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
কেউ জানাচ্ছেন, ভিড়ের মধ্যে কোনও এক জন যদি উপসর্গহীন কোভিড রোগী ঢুকে পড়েন, তা হলে বহু লোকের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সেক্ষেত্রে পুজো উদ্যোক্তাদেরই দোষী করা হত। এখন যে পরিস্থিতি হল, তাতে অন্তত করোনা রোখা যাবে। করোনা ছড়িয়ে পড়ার ভয়ও কমবে।
তবে কিছু পুজোর উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, এই নির্দেশ কয়েক দিন আগে এলে ভাল হত। যেমন, অনেক মণ্ডপেই ইতিমধ্যে প্রতিমা এসে গিয়েছে। অনেক পুজোর উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে। মণ্ডপ সজ্জার জন্য অনেক টাকা খরচও করা হয়েছে। কোনও কোনও মণ্ডপে দশ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে শুধু মণ্ডপের ভিতরের কাজের জন্য। কেউ ঝাড়বাতি দিয়ে সাজিয়েছেন। কেউ অন্য আঙ্গিকে। তাতে শিল্পীদের যে টাকা দেওয়ার, তা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন সেই মণ্ডপ আর দর্শকরা দেখতে পাবেন না। তা ছাড়া, রাজ্য সরকার করোনা কালে পুজোবিধি আগেই ঠিক করে দিয়েছিল।
সেই বিধি মেনে ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গায় পুজো মণ্ডপও তৈরি হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মণ্ডপের প্রবেশের জন্য স্যানিটাইজ়ার ট্যানেল থেকে ফেসকভারের ব্যবস্থা সবই করেছেন উদ্যোক্তারা। আর তা করতে গিয়ে মণ্ডপ তৈরি সহ একাধিক খাতে বড় খরচ হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে খরচের সেই ঝক্কি সামলেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ যে করা যাবে, তাতেই বেশি খুশি বেশিরভাগ পুজো উদ্যোক্তা।
লোয়ার কাজাই সর্বজনীন পুজো কমিটির সম্পাদক সৌম্যদীপ সোনাই বলেন, ‘‘ব্যারিকেডের ওপারেও যেন ভিড় না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।। অঞ্জলির ক্ষেত্রে কী হবে, সেই বিধি জেনে নিতে হবে।’’ ব্যারিকেডের ও পারে ভিড় কমাতে পুলিশকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অনেক পুজোর উদ্যোক্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy