প্রতীকী ছবি।
বৃহস্পতিবার তেহট্ট থানার সাধুবাজারে এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃত বধূর নাম রিমা রায় (২৬)। তাঁকে বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের বাসিন্দা রিমার বিয়ে হয় বেতাই সাধুবাজারের ভবানন্দ রায়ের সঙ্গে। তাঁদের ৪ বছরের একটি ছেলে আছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়। এর পরেই বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বধূর দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই বধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই রকমই ঘটনা ঘটেছে তেহট্টের মুরুটিয়া থানা এলাকার তাজপুরে। সেখানেও এক বধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম সুপর্না মিস্ত্রি (৩২)। সকালে পরিবারের লোকজন ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। বধূর ৯ বছরের এক সন্তান রয়েছে। মৃতার বাপেরবাড়ির পক্ষ থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে মুরুটিয়া থানার পুলিশ খুন, বধূ নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও একটি ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে হোগলবেড়িয়া থানা এলাকায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃতের নাম বিষ্ণু সরকার (২৭)। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ঘরে বিষ্ণুর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন। তাঁকে করিমপুর গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই তিন ঘটনার প্রেক্ষিতে তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘হোগলবেরিয়া ও তেহট্টের ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করা হয়েছে। মুরুটিয়ার ঘটনার ক্ষেত্রে বধূ নির্যাতন ও খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy