সেই চেনা হাসি, চেনা মুখ। সেই আলো ঝলমলে মঞ্চ।
কিন্তু রং? বদলে গিয়েছে। যেমন বদলে গিয়েছে অনুষ্ঠানের স্থান।
আগে যাঁদের দেখা যেত জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ে, শনিবার সেই তাঁদেরই দেখা গেল রবীন্দ্রসদন মঞ্চে। সদ্য তৃণমূলের দখলে যাওয়া বহরমপুর পুরসভা আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর আসরে।
গত বছরেও কংগ্রসের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ আলো করেছিলেন বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য। এ বার?
সদ্য অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নীলরতনবাবু রবীন্দ্রসদনের বিজয়া সম্মিলনীতে বললেন, ‘‘গত ২৭ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী বহরমপুরে এসে বলে গিয়েছেন, ‘বহরমপুর শহরকে রাজ্যের মডেল শহরে পরিণত করব।’ ২০০৭ সালে পুর উৎসব করেছিলাম। তার পর আর হয়নি। আবার করব। মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় যে দিন উদ্বোধন করতে পারবেন, সেই দিনই করব।’’
বিজয়ার মঞ্চে কোথাও কি একটু অস্বস্তি থেকেই গেল?
বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চেও জারি থাকল রাজনৈতিক আকচাআকচি। আর, কংগ্রেস না তৃণমূল, কাদের টিফিন কত মিষ্টি, তা নিয়ে জোর তুলনা।
দিন কয়েক আগে বহরমপুর টাউন কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীতে মঞ্চের গায়ক ধরেছিলেন— ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই।’ এ দিন রবীন্দ্রসদন মাতিয়ে দিলেন শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীমান্ত সরকার ও ঐশিক মণ্ডলেরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাস। তবে কংগ্রেসের কাউন্সিলররা পুরসভা আয়োজিত এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছিলেন।
কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই শিবিরের সম্মিলনীতে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের কেউ এ দিন বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ রে, মোটে ৭০০ লোক! কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীতে তো হাজার তিনেক লোক ছিল।’’
আবার কেউ ফিসফিস করেছেন, ‘‘যাই বল ভাই! অধীরদা কিন্তু মান্নানদাকে বলে বলে গোল দিল! সরকারি দলের বিজয়া সম্মিলনীতে মিষ্টির একটা প্যাকেটও নেই। কেবল বিস্কুট আর চা! আর অধীরদা এই পরিস্থিতিতেও লুচি, বোঁদে আর আলুর দমের কেমন ব্যবস্থা করেছিল বল?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy