—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত কয়েক বছর ধরেই মুর্শিদাবাদে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পরীক্ষায় ছাত্রদের পিছনে ফেলে দিচ্ছে ছাত্রীরা। এ বারও মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা পরীক্ষায় সেই ধারা বজায় থাকল মুর্শিদাবাদে। এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রদের থেকে ১৭ হাজার ১২১ জন বেশি ছাত্রী বসছে। তেমনই মাদ্রাসা পরীক্ষায় ছাত্রদের দ্বিগুন ছাত্রী বসছে। তবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এ বছর মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী কিছুটা বাড়লেও ২০২২ সাল বা তার আগের তুলনায় এ বারও পরীক্ষার্থী অনেকটাই কম। এ বার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাদ্রাসা পরীক্ষা এবং ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে।
কেন সার্বিক ভাবে পরীক্ষার্থী কম? জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, ‘‘কেন পরীক্ষার্থী কম তার পর্যালোচনা আমরা করিনি। ফলে কমের কারণ জানি না।’’ ছাত্রী পরীক্ষার্থী বেশি হওয়ার কারণ কী? জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, ‘‘বিগত কয়েক বছর থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পরীক্ষায় ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হচ্ছে। কী কারণে এমন হচ্ছে সেই পর্যালোচনা আমরা করিনি। ফলে কারণ আমরা বলতে পারব না।’’ বহরমপুরের হিকমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থী হিসেবে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকায় ভাল লাগছে ঠিকই। তবে ছাত্ররা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে তাও আমাদের দেখা দরকার। সেই সঙ্গে সার্বিক ভাবে পরীক্ষার্থী কেন কমছে তাও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে জেলায় ৯৬ হাজার ৩৫২ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। গত বছর সেখানে ৫৯ হাজার ৫১৬ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। তবে এ বার কয়েক হাজার বেড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হয়েছে ৭৮ হাজার ৩১৯ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র পরীক্ষার্থী ৩০ হাজার ৫৮৯ জন, ছাত্রী পরীক্ষার্থী ৪৭ হাজার ৭১০ জন। এ বছর ১৭ হাজার ১২১ জন ছাত্রী পরীক্ষার্থী বেশি রয়েছে। অন্যদিকে ২০২২ সালে মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ হাজার ৫৬৫ জন। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৯১৬ জনে। এ বছর মাদ্রাসা পরীক্ষা দিচ্ছে ১৬ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র পরীক্ষার্থী ৫ হাজার ৪০৬ জন, ছাত্রী পরীক্ষার্থী ১০ হাজার ৮৪১ জন। ৫ হাজার ৪৩৫ জন বেশি ছাত্রী এ বারে মাদ্রাসা পরীক্ষা দিচ্ছে।
সূত্রের খবর, করোনাকালে ২০২২ সালে সবাই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ বা ২০২৪ সালে টেস্ট পরীক্ষায় অনেককে আটকানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০১৩ সালের আগে পাঁচ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারত। ২০১৩ সাল থেকে নিয়ম বদল করে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স ৬ বছর করা হয়। ফলে সে বছর অনেক পড়ুয়া প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি। সে বছরে যারা পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল গত বছর তারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। যার জেরে গত বছর পরীক্ষার্থী কমেছিল। তবে সার্বিক ভাবে গত বছরের তুলনায় এ বারে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী বেড়েছে। তবে অনেকেই বলছেন, নানা কারণে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা এখনও রয়েছে। যার জেরে পরীক্ষার্থী কমছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy