Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
registry marriages

লকডাউনে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে No.বেড়েছে

মুর্শিদাবাদ জেলায় এ বছর রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে ৫ হাজার ৯২৫টি। রাজ্যে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রি বিয়ের সংখ্যা ১লাখ ২৫ হাজার ৫৯৮।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিমান হাজরা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ০৬:৫৮
Share: Save:

বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই লাখ টাকার ধাক্কা। টানা দু সপ্তাহ ধরে বাজার হাটে ঘোরাঘুরি। আত্মীয় কুটুম্বদের ভিড়। সব বন্ধ করোনার আতঙ্কে, লকডাউন ও পুলিশের নজরদারিতে। কিন্তু বিয়ে তো বন্ধ রাখা যায় না। তাই অনেকেই এখন ঝুঁকছেন অন্য রকম বিয়ের পথে। করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে, লকডাউনের বিধিনিষেধ এড়িয়ে। সে কারণেই রেজিস্ট্রি করেই বিয়ে সারার আগ্রহ বাড়ছে মুর্শিদাবাদের বহু এলাকাতেই। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে নিম্নবিত্ত, চাষি, দিনমজুর পরিবারগুলির মধ্যে।

মুর্শিদাবাদ জেলায় এ বছর রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে ৫ হাজার ৯২৫টি। রাজ্যে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রি বিয়ের সংখ্যা ১লাখ ২৫ হাজার ৫৯৮। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ রেজিস্ট্রি বিয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যের মধ্যে নবম স্থানে রয়েছে। তবে মুর্শিদাবাদের থেকে রেজিস্ট্রি বিয়েতে অনেকটাই এগিয়ে আর এক সংখ্যালঘু জেলা মালদহ। এ বছর এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৮২৩টি বিয়ে রেজিস্ট্রি করিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মালদহ।

এ বছর রেজিস্ট্রি বিয়ের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও তা আশানুরূপ নয় বলেই মনে করেন এক ম্যারেজ রেজিস্ট্রার নবকুমার চৌধুরী। নববাবু বলেন, “আগে রেজিস্ট্রি বিয়ে নিয়ে অনেকেরই ছুঁতমার্গ ছিল। ফলে বছরে ১০০টি বিয়েও নিবন্ধীকরণ করা হত না। এখন সেটা অনেকটাই বেড়েছে। ২০১৫ সালে ২১০টি বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে। ২০১৬ তে তা বেড়ে হয় ৩২৭টি। গত বছর রেজিস্ট্রি বিয়ের সংখ্যা ছিল আমার অফিসে ৭০০র কিছু বেশি। এ বারে এ পর্যন্ত সেই সংখ্যা দাঁড়িয়ে ৬৫০। বছর ফুরোতে এখনও দেড় মাস আছে। আশা করছি তা ৮০০ ছাড়াবে। এমনকি একই দিনে ৪০টি বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে হয়েছে এমন দিনও গেছে।”

তিনি বলেন, “সরকারি তরফে কিছু প্রকল্পে বিয়ে নিবন্ধীকরণের জন্য আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে নিবন্ধীকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তা ছাড়া সামাজিক দাম্পত্য জীবনে কিছু সমস্যা সহজেই এড়ানো যায় বিয়ে নিবন্ধীকরণ থাকলে।” সরকারি আইনজীবী অশোক সাহার কথা,“ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বিয়ে রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক হয়েছে। সামাজিক সুযোগও মিলছে।”

ময়া থেকে এদিন এক প্রতিবেশীর বিয়ের জন্য ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে এসেছিলেন তপন রবিদাস। বলছেন, “অনুষ্ঠান করে বিয়ে দেওয়ার খরচ অনেক। তাই আমার তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছি রেজিস্ট্রি করে।’’ রাজারামপুরের সুশীল মণ্ডল নাতি ধনঞ্জয় মণ্ডলের বিয়ে দিয়েছেন মাস তিন আগে। সুশীলবাবু বলছেন, “আমাদের সমাজে যেকোনো বিয়েতেই এখন খরচ দেড় লক্ষ টাকার কম নয়। বহু কষ্টে চাষ করে এই আয় করতে হয়। তাই অপচয় না করে রেজিস্ট্রি বিয়ে সেরে পাত্র পাত্রীর নামে এক লক্ষ টাকা ফিক্সড করে দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কে।”

অন্য বিষয়গুলি:

registry marriages West Bengal Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy