জল কত দূরে। শমসেরগঞ্জে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
চারটি গ্রামের ভাঙন দুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য শমসেরগঞ্জ এলাকায় সরকারি খাস জমির খোঁজ চালাচ্ছে ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতর। তবে এখনও পর্যন্ত এক লপ্তে কোনও বড় জমির খোঁজ মেলেনি। শমসেরগঞ্জের ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সত্যজিৎ শিকদার বলেন, “জমির খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে এত লোকের পুনর্বাসনের মতো জমি এখনও মেলেনি।” নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের হিসেবে, চার গ্রামের ভাঙনে ২২৫টি বাড়ি গঙ্গায় হয় ধসে পড়েছে, না হয় তলিয়ে গিয়েছে। ৪০০ বাড়ি বিপদের আশঙ্কায় ভেঙে নেওয়া হয়েছে। নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিউটি হালদার বলছেন, “সকলকে পুনর্বাসনের জন্য প্রায় ৮ থেকে ১০ একর জমি লাগবে।
শমসেরগঞ্জের ওই এলাকার কাছাকাছি এত ঘনবসতিপূর্ণ যে এক লপ্তে অত জমি পাওয়া অসম্ভব। এই এলাকায় খাস জমি কম। যেটুকু ছিল সবই পাট্টা দেওয়া হয়েছে। তাই জমি পেতে সমস্যা হচ্ছে। আমরাও পঞ্চায়েত থেকে খাস জমির খোঁজ করছি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। এক সঙ্গে জমি না মিললে বিভিন্ন জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া যেতেই পারে।’’ তবে শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলছেন, “যেহেতু ফরাক্কা ব্যারাজ এই নদী ভাঙনের জন্য দায়ী তাই তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে পুনর্বাসনের। শমসেরগঞ্জেই চাঁদপুরে একটি বিশাল জমি রয়েছে ব্যারাজের। জমি রয়েছে ফিডার ক্যানাল পাড়ে আমডাঙাতেও। সেখানেও অস্থায়ী ভাবে তাদের পুনর্বাসন হতে পারে।”
সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তোয়াব আলি বলছেন, “বিভিন্ন কলোনি এলাকার আশপাশে কিছু জমি আছে। তা সরকারকে অধিগ্রহণ করে পাট্টা দিতে পারে।’’ কংগ্রেসের শমসেরগঞ্জ ব্লক সভাপতি হাবিবুর রহমানের দাবি, “ফরাক্কা ব্যারাজের এখনও জমি পড়ে রয়েছে। ভাঙন বিপর্যয়ের চেহারা নিয়েছে। কেন্দ্র-রাজ্য দু’পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে।’’ তবে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামের বাসিন্দাদের চাঁদপুরে পুনর্বাসনে আপত্তি রয়েছে। শিবপুরে এখনও গঙ্গায় বাড়ির অর্ধেকটা ঝুলে রয়েছে পবন মণ্ডলের, তিনি বলছেন, “ঝাড়খণ্ড লাগোয়া ওই জায়গায় পরিবেশ ভাল নয়। বড় অচেনা জায়গা। আমরা সে কথা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy