ছবি: সংগৃহীত
শহরের নিকাশিনালার নোংরা জলে দূষণ ছড়ায়। সেই দূষণ বন্ধ করতে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ও জঙ্গিপুর পুরসভা বর্জ্য জল পরিস্রুত (ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ফেসিলিটি) করার প্রকল্প নিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি একটি সংস্থাকে ওয়ার্ক অর্ডারও দিয়েছে। এই প্রকল্প নির্মাণের পাশাপাশি আগামী ১৫ বছর ধরে তার রক্ষণাবেক্ষণও করবে ওই সংস্থা। প্রায় ১২০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে প্রকল্পে।
নিকাশি নালা থেকে বর্জ্য গিয়ে মেশে নদী, খাল-বিলে। সেই সব জলাশয়ও দূষিত হয়। তাতে পরিবেশ দূষণে অনেক বড় ক্ষতি হয়। সেই ক্ষতিই আটকানোর চেষ্টা হবে এই প্রকল্পে।
পুরভোটের মুখে এমন প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা সমালোচনা শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ভোট এলেই তৃণমূল সরকার নানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে। সামনে পুরভোট, তাই এ ধরনের প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে। তাঁদের কথায়, এই প্রকল্প আদৌও হবে কি না, তা সময়ই বলবে। জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচন এলেই তৃণমূলের নেতারা মানুষকে ধাপ্পা দিতে এরকম অনেক প্রকল্পের কথা বলেন। ভোট শেষ হয়ে গেলে সেই প্রকল্প চোখে পড়ে না। নিকাশির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হবে।’’ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস অবশ্য বলেন, ‘‘পুরসভার নিকাশিনালাগুলি পুকুরে পরিণত হয়েছে। নিকাশিনালার কাজ হয়নি। পুরসভার উন্নয়নের টাকা ড্রেন হয়ে তৃণমূলের নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। এ বারে ড্রেনের টাকা কোন ড্রেনে যাবে তা সময়ই বলবে।’’
যদিও বহরমপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘আমরা মুখে বলি না। কাজ করে দেখাই। নিকাশিনালার প্রকল্পের বরাত ইতিমধ্যে একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। কাজ যে হবে তা মানুষ দেখতে পাবেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এই প্রকল্পের ফলে বহরমপুর শহরের নিকাশি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। পরিবেশের দূষণ কমে যাবে।’’
বহরমপুর পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক মহম্মদ সাজাহান বলেন, ‘‘রাজ্যের অন্য কয়েকটি পুরসভার সঙ্গে বহরমপুর পুরসভাকে এই প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। নিকাশিনালার জলকে পরিস্রুত করা হবে।’’ তবে জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘এরকম চিঠি এখনও হাতে পাইনি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে খোঁজ নেব।’’
দুই শহরের অনেক জায়গায় নিকাশিনালা ভাল নেই। ফলে মশা মাছির উপদ্রব যেমন হয়, তেমনই দূষণও ছড়ায়। শহরকে দূষণ মুক্ত করতে এই ধরনের প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর বহরমপুর শহরে ৫টি বড় নিকাশিনালা রয়েছে। বছরের অধিকাংশ সময় সেই নালা ঠিক মতো পরিষ্কার হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ‘ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ফেসিলিটি’ প্রকল্প হলে শহরের বাসিন্দাদের সুবিধা হবে। সূত্রের খবর, প্রকল্পেপৃর ফলে খোলা নিকাশিনালাও আর থাকবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy