Advertisement
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Beharampur

হোটেলে কড়া নজরের দাবি

বহরমপুর কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন প্রায় ১১ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে বহরমপুর শিল্পতালুক। এখানেই চারটি বড় হোটেলের পাশাপাশি বেসরকারি বড় হাসপাতাল আছে একটি, এখানেই সদ্য একশো শয্যার আরও একটি হাসপাতাল বেসরকারি উদ্যোগে চালু হয়েছে।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

বিদ্যুৎ মৈত্র
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫৫
Share: Save:

অনেক দিনের মুখ চেনা মানুষেরও যখন অন্য পরিচয় প্রকাশিত হয়ে যায়, তখন শহরের হোটেলের অচেনা মুখের প্রতি পুলিশ-প্রশাসনের উদাসীনতা অবাক করছে বহরমপুরকে। বহরমপুরের বাসিন্দারা বলছেন, এ শহরে নানা কাজে বহু মানুষ আসেন। তাঁদের কে কোন উদ্দেশ্যে এসেছেন, তা জানা যায় না। জেলার ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গি সন্দেহে। তার পরেও নিরাপত্তা বাডাতে পুলিশকেও এখনও যথেষ্ট সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। তাতে ভয়ই বাড়ছে।

বহরমপুর ও পঞ্চাননতলায় বেশ কিছু তিন তারা ও চার তারা হোটেল আছে যেখানে প্রতিদিনই ভিন জেলার মানুষের ভিড় বাড়ে। শহরের পাশাপাশি শহর লাগোয়া অঞ্চলেও বেশ কিছু দামি হোটেল আছে। সেগুলিতেও কম বেশি মানুষজনের যাতায়াত আছে। এসবের পাশাপাশি শহরের উভয়দিকে জাতীয় সড়কের পাশে বেশ কিছু জায়গায় অনামী হোটেলেও আছে। বহরমপুরের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী অমিত দত্ত বলেন, “জঙ্গি হোক আর অন্য কেউ সে যদি অপরাধ জগতের কেউ হয় আর যদি গা ঢাকা দিতে ছদ্মবেশ ধারণ করে আর তারপর যদি বড় কোন ঘটনা ঘটে যায় তার দায় কে নেবে? পুলিশের উচিত কড়া নজরদারি চালানো।”

বহরমপুর কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন প্রায় ১১ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে বহরমপুর শিল্পতালুক। এখানেই চারটি বড় হোটেলের পাশাপাশি বেসরকারি বড় হাসপাতাল আছে একটি, এখানেই সদ্য একশো শয্যার আরও একটি হাসপাতাল বেসরকারি উদ্যোগে চালু হয়েছে। আছে বেশ কিছু ছোটখাটো রেস্টুরেন্টও। এমনিতেই ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে প্রচুর মহিলা কর্মীও আছেন। নিত্যদিন অনেক রাত পর্যন্ত বহু মানুষের যাতায়াত এই এলাকায়। তা সত্ত্বেও এত বড় এলাকায় পুলিশি নজরদারি চোখে পড়ে না কারোর। ওই শিল্পতালুকের একটি চারতারা হোটেলের ম্যানেজার প্রলয় তিওয়ারি যদিও বলেন, “আমাদের এখানে পরিচয়পত্র ছাড়া কারও প্রবেশের অধিকার নেই। এমনকি যুগলদের ক্ষেত্রেও বিবাহের শংসাপত্র দেখাতে হয়।” যদি তা নকল হয়? তিনি বলেন, “তা ধরার কোনও ব্যবস্থা আমাদের কাছে নেই।” ওই শিল্পতালুকের ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক তমাল দত্ত বলেন, “একটা সময় পুলিশের নজর ছিল। এখন আর সেই নজরদারী দেখা যায় না।” এমনিতে জেলা পুলিশের কাছে হোটেলের আবাসিকদের তথ্য পাঠানোর কথা থাকলেও তা যে সবাই পাঠান না তা অজানা নেই পুলিশেরও। হোটেল মালিক সংগঠনের সম্পাদক সঞ্জীব চৌধুরী বলেন, “একটা সময় জেলায় হাতে গোনা হোটেল ছিল এখন তা অনেক বেড়েছে। কিন্তু পুলিশের নজরদারি বা তল্লাশি নেই। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, নিয়মিত হোটেলগুলি তল্লাশি চালানোর জন্য। শুধু সন্ত্রাস নয় অনেক বেআইনি কার্যকলাপও নজরে আসবে।” তবে পুলিশ জানিয়েছে, নজর রয়েছে। সেই নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Hotel Beharampur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy