লালগোলার মহারাজা যোগীন্দ্রনারায়ণ রায়ের দান ছাড়া কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ হয়ত গড়েই উঠত না। সে রাজবাড়ির গা ঘেঁষা কলকলি নদী, শিকলবাঁধা কালীমূর্তি আর মন্দির বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে আনন্দমঠ লিখতে প্রাণিত করেছিল বলে অনেক গবেষকের দাবি। কবি কাজি নজরুল ইসলাম লালগোলার মহারাজার শিকলবাঁধা কালী মন্দিরে বরদাচরণ মজুমদারের কাছে যোগ শিখে ছিলেন।
সেই রত্নগর্ভা মাটি পরবর্তী কালে আন্তর্জাতিক চোরাচালানের অন্যতম করিডরে পরিণত হয়েছে। ওই বদনাম ঘোঁচাতে চোরাপাচারের বিরুদ্ধে অভিযান জারি রাখার পাশাপাশি এলাকায় ফুটবল খেলা ও বইমেলার আয়োজনে জোর দিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের পুলিশ কর্তা আয়ান রশিদের গান শুনে ঠেস জড়ানো বিস্ময় ছিল— পুলিশও রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়! আজ তিনি বেঁচে থাকলে লালগোলা পুলিশের তৎপরতা দেখে কী বলতেন?
৬ দিনের মেলা চলবে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত। সাড়ে ৫ লাখ টাকার বাজেটের বইমেলায় কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার প্রকাশনা সংস্থা মিলে স্টলের সংখ্যা ৫০। প্রতি বছরের মতো এ বারও স্টলের জন্য ভাড়া নেওয়া হবে না। তাঁদের থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব বইমেলা কমিটির।
এ বারও কলকাতার প্রকাশনা সংস্থার যাতায়াতের খরচ বহণ করবে মেলা কমিটি। প্রতি বারের মতো এ বারে মেলাতেও নাটক, সঙ্গীত, মণিপুরি নৃত্য, বাউল থাকছে। বইমেলা উপলক্ষে লালগোলা জুড়ে উৎসবের আবহ তৈরি হয়। দূর দূরান্তের আত্মীয় পরিজনেরা বইমেলা উপলক্ষে লালগোলায় কয়েক দিন কাটিয়ে যায়। এ বারও কর্মসূত্রে বাইরে থাকা লালগোলার বাসিন্দারা ফিরতে শুরু করেছেন। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পুজো-পরবে লোকজন কাজের জায়গা থেকে বাড়ি ফিরত। এখন বইমেলাও তো পরব।
পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের কথায়, ‘‘সুস্থ সমাজ গড়তে অপরাধ দমনে পুলিশি তৎপরতার পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতির প্রসারও খুব জরুরি, তাই এই বইমেলা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy