ফাইল চিত্র।
বরাবরের তুলনায় এ বারে রাজ্যের অন্য জেলার মতো মুর্শিদাবাদেও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমেছে। যা মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার সময় থেকেই নজরে আসতে শুরু করেছিল। কারণ সে সময় দেখা গিয়েছিল, নবম শ্রেণিতে নথিভুক্ত করলেও মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা দিতে আসেনি। মাধ্যমিক পরীক্ষা কাছে আসতেই বিষয়টি আরও পরিস্কার হয়েছে। রাজ্যে যেখানে বরাবরের তুলনায় এবারে চার লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কম, সেখানে মুর্শিদাবাদেও গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কম রয়েছে।
জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ছুট হয়ে ভিন রাজ্যে কাজে চলে যাওয়া, মাঝপথে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়া, বয়সজনিত কারণে এবারে যাঁরা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের সময়ে প্রথম শ্রেণি ভর্তির সংখ্যা কম ছিল। যার জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তবে জেলা শিক্ষা দফতরের তরফে বিদ্যালয়গুলির কাছে এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়গুলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে ২০২১ সালে কতজন পড়ুয়া নবম শ্রেণিতে নাম নথিভুক্তকরণ (রেজিস্ট্রেশন) করেছিল, এ বছর কত জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে, নবম শ্রেণিতে নিবন্ধিত হওয়া সত্ত্বেও ২০২৩ সালে মাধ্যমিকে পরীক্ষা না দেওয়ার সম্ভাব্য কারণের তালিকা দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। যেমন শিক্ষার (অ্যাকাডেমিক) দুর্বল প্রস্তুতি, বয়স-নির্দিষ্ট ভর্তির জনিত কারণে, টেস্ট পরীক্ষায় যোগ্য না হওয়া, আর্থিক অনটন এবং অন্য কারণ।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরে জানিয়েছে কি না এবং বিদ্যালয় কোনও ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তার পরেই বিদ্যালয়গুলি শিক্ষা দফতরে তথ্য পাঠাতে শুরু করেছে।
মুর্শিদাবাদের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, ‘‘বিদ্যালয়গুলির কাছে এ বিষয়ে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই সব তথ্য আসতে শুরু করেছে। সেগুলি নিয়ে আলোচনা চলছে।’’ তবে তাঁর দাবি, ‘‘বয়সজনিত কারণে ২০১৩ সালে অনেকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি। সে বছরে যারা প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল তারা এ বারে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। ফলে বরাবরের তুলনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবারে কমেছে। এ ছাড়া গতবার টেস্ট পরীক্ষায় সকলকে পাশ করানো হয়েছিল। ফলে সকলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছিল। এবারে বিদ্যালয় টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের আটকেছে। যার জেরে পরীক্ষার্থী কম।’’
তিনি জানান, স্কুলছুট বা অল্প বয়সে বিয়ে হওয়াটা কারণ নয়। কারণ প্রতি বছরই এরকম কিছু থাকে। সূত্রের খবর, ২০১৩ সালের আগে পাঁচ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারত। ২০১৩ সাল থেকে নিয়ম বদল করে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স ৬ বছর করা হয়। ফলে সে বছর অনেক পড়ুয়া প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি।
মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির জেলার আহ্বায়ক শেখ মহম্মদ ফুরকান বলেন, ‘‘গতবার সকলকে পরীক্ষা বসার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে এবারে টেস্ট পরীক্ষায় অনেক পড়ুয়াকে আটকানো হয়েছে। যার জেরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy