এক যুবককে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় তৃণমূল প্রধানের স্বামীর নাম জড়াল। সেই সঙ্গে উঠে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিচিত ছবি।
শনিবার সন্ধ্যায় রানাঘাটের নোকারিতে চাষের জমি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায় সেটি ধানতলার রঘুনাথপুর-হিজুলি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা অসীম রায়ের (৪২) দেহ। তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের স্ত্রী রিতাদেবী পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রঘুনাথপুর-হিজুলি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের জিনি কর্মকারের স্বামী শ্যাম কর্মকার তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করেন। সেই সময় অসীমবাবু শ্যামবাবুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রীতাদেবীর অভিযোগ, ‘‘সেই রাগের বশে শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ শ্যাম কর্মকারের নির্দেশে চার জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বাড়িতে থেকে অসীমবাবুকে তুলে নিয়ে যায়। তারাই নৃশংশ ভাবে কুপিয়ে খুন করে।’’
মৃত অসীম রায়কে দলীয় সমর্থক বলে দাবি করে বাণীবাবু বলেন, ‘‘অসীমবাবুকে ভাল মানুষ বলে জানতাম। কেন তাঁকে খুন করা হল তা বুঝতে পারছি না।’’ রবিবার অসীমবাবুর স্ত্রী শ্যামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা পুলিশ সুপার ভরতলাল মীনা বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে শ্যামবাবুর দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘জেলা পরিষদের সভাধিপতি বাণীকুমার রায় ওই মহিলাকে দিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন।’’ সেই সূত্রেই উঠে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি। তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর, বাণীবাবুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোক হওয়ায় শ্যামবাবুকে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি বাণীবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘কে কী বলছে জানি না। আমার বলার কিছু নেই।’’
এ দিকে স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন প্রধান জিনি কর্মকার। তাঁর কথায়, ‘‘রাজনীতিতে আসতে চাইনি। প্রধান হতেও চাইনি। এখন যখন মানুষের জন্য কাজ করতে শুরু করেছি তখনই স্বামীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy