—ফাইল চিত্র
বিধানসভা ভোটের আগে মতুয়া-বিষয়ক কর্মসূচি নিয়ে গঠিত রাজ্য বিজেপির কমিটিতে দুই সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও শান্তনু ঠাকুরের সাথে ঠাঁই পেলেন মুকুটমনি অধিকারী। বছর খানেক আগে দলের নতুন জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়েছিলেন মুকুটমনি। তবে রাজ্যস্তরের কমিটিতে জায়গা পেলেন এই তরুণ চিকিৎসক।
বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে রাজ্যে ভোট-ম্যানেজমেন্ট টিম তৈরি করছে বিজেপি। সেখানে আলাদা-আলাদা বিষয়ের উপরে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ভাবেই যুব, উদ্বাস্তু এবং মতুয়া কর্মসূচির জন্য তৈরি হয়েছে ৬ জনের কমিটি। যার দায়িত্বে থাকছেন দেবজিৎ সরকার। এই কমিটিতে জগন্নাথ সরকার, শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিজেপিপন্থী মতুয়া সংগঠনের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মুকুটমনি অধিকারীকেও সদস্য করা হয়েছে।
নদিয়ার দক্ষিণাংশে মতুয়াদের আধিক্য রয়েছে। আবার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রেও তাই। নদিয়ার দক্ষিনাংশের দু’টি বিধানসভা আবার বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত। রানাঘাট লোকসভায় গত বছর বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। তবে জেলা বিজেপিতে মুকুটুমনি এবং জগন্নাথের মধ্যে বিরোধ আছে বলে দলসূত্রের খবর। চাকরি-সংক্রান্ত জটিলতায় লোকসভা ভোটে প্রার্থী পদ হাতছাড়া হয়ে যায় মুকুটের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সাংসদ হয়ে যান জগন্নাথ। লোকসভা ভোটের পরে অবশ্য মুকুটমণিকে মতুয়া সংগঠনে আনা হয়।
জগন্নাথ সাংসদ হওয়ায় নদিয়া দক্ষিণে মানবেন্দ্রনাথ রায়কে জেলা সভাপতি করা হয়। সেই সময়ে জেলার সম্পাদকমণ্ডলীতে আসেন মুকুটমনি। তবে মাস কয়েকের মধ্যে মানবেন্দ্রকে সরিয়ে অশোক চক্রবর্তীকে জেলা সভাপতি করা হয়। পরের কমিটিতে আর ঠাঁই হয়নি মুকুটের। তবে এ বার রাজ্যস্তরে গঠিত মতুয়া-সংক্রান্ত কমিটিতে অবশ্য জগন্নাথের সঙ্গেই জায়গা পেয়েছেন তিনি।
এ দিন মুকুটমণি বলেন, “সবার সঙ্গে একজোট হয়েই কাজ করব।” আর সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, “দলের অনুগত সৈনিক হিসাবেই দলের দেওয়া যাবতীয় দায়িত্ব পালন করব।” দলের নবদ্বীপ জোনের মুখপাত্র হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে জগন্নাথ সরকার এবং মানবেন্দ্রনাথ রায়কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy