প্রতীকী ছবি।
নিজের মাস দেড়েকের শিশুকন্যাকে গলায় হাঁসুয়ার কোপ মেরে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করল মা। বছর পঁচিশের ওই তরুণীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার, বহরমপুরের রঘুনাথপুরের ওই ঘটনায় ওই তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, মানসিক অবসাদ থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। ওই মহিলার বাবা দাবি করেছেন, ‘‘মেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল ঠিকই, তবে তার জন্য ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজনই দায়ী। মারধর করা থেকে নাগাড়ে মানসিক নির্যাতনের চাপ সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে এমন করেছে বলে তিনি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘কী কারণে ওই মহিলা এমন করেছেন তা স্পষ্ট নয়। তাকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে। তবে ঘোরের মধ্যে থাকলেও ওই মহিলা স্বীকার করেছে, বাঁচার ইচ্ছে চলে গিয়েছিল তার। সেই জন্যই মেয়েকে মেরে নিজে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল সে।’’
দিন কয়েক আগে তার দেড় মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছিল ওই মহিলা। মহিলার বাবার অভিযোগ, ‘‘শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওকে সহ্য করতে পারে না। তা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। বছর কয়েক আগে একটি মৃত পুত্রসন্তান প্রসব করার পরে সে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছিল। তার পর থেকেই ও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিল। কখনও গায়ে-পেটে ব্লেড চালিয়ে কখনও অন্য ভাবে। আমার মেয়ের মানসিক স্থিরতা ছিল না একেবারেই।’’ হাসপাতালের শয্যায় ওই মহিলাও ক্রমাগত বলে চলেছে, ‘‘আমি বাঁচব না, শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে বাঁচতে দেবে না।’’ যদিও ওই মহিলার স্বামী, নবগ্রামের দফরপুরের বাসিন্দা বলেন, ‘‘স্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভাল। ওর বাপের বাড়ির লোকজন এই পরিস্থিতিতে মেয়েকে বাঁচাতেই হয়ত এ সব কথা বলছেন। আমি ভাবতেও পারিনি যে ও এমন কাণ্ড করতে পারে!’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে ওই মহিলার বিয়ে হয়। বছর দুয়েকের মাথায় তিনি এক মৃত পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। তার পর থেকে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ত সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy