Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kaliganj

ভুয়ো ক্লাবের নামে টাকা, প্রশ্ন তৃণমূলেই

অভিযোগে এ-ও বলা হয়েছে যে দুই ক্লাবের সম্পাদকের নাম রিঙ্কু রহমান ও জিয়াউল রহমান।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সন্দীপ পাল
কালীগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২০ ০৬:৫৪
Share: Save:

ভুয়ো ক্লাবে নামে সরকারি অনুদান আত্মসাতের অভিযোগ হয়েছে, অথচ শাসক দলের নেতা বলছেন তিনি এর কিছুই জানেন না। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় তৃণমূলের অন্দরেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

গত মঙ্গলবার ডিওয়াইএফ-এর তরফে কালীগঞ্জের বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয় যে, পানিঘাটা পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর গ্রামে অগ্নিবীণা সঙ্ঘ ও রাধাকান্তপুর যুবক সঙ্ঘ নামে দু’টি ক্লাব ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পেয়েছে, কিন্তু আদতে তাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের একাংশ এবং গ্রামের লোকজনও জানান যে ওই নামে কোনও ক্লাবের কথা তাঁরা শোনেননি। অভিযোগে এ-ও বলা হয়েছে যে দুই ক্লাবের সম্পাদকের নাম রিঙ্কু রহমান ও জিয়াউল রহমান।

ডিওয়াইএফ-এর কালীগঞ্জ ব্লক সভাপতি জহিরুদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, “দুই ক্লাবের সম্পাদকের নাম রিঙ্কু রহমান ও জিয়াউল রহমান, আবার তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতির নামও তাই। এই দুই ব্যক্তি উনিই কিনা তা উনিই ভাল বলতে পারবেন। তবে আমাদের বিষয়টি শুধু মাত্র একটি ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। সরকারের টাকা এই ভাবে তছরুপ করা চলবে না। প্রশাসনকে বের করতে হবে, ওই দুই ব্যক্তি কে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।”

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কালীগঞ্জ ব্লক যুব সভাপতি জিয়াউল রহমান আবার বলেন, “আমি দেবগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা, রাধাকান্তপুর গ্রামের কোনও ক্লাবের সম্পাদক কেন হতে যাব? ওই অভিযোগ আমি দেখেছি, ওই দুই ব‍্যক্তি আমি নই। ওরা ২০১৬ সালে টাকা পাওয়ার অভিযোগ করেছে আর আমি যুব সভাপতির পদ পাই ২০১৭ সালে। এখানে ভিত্তিহীন ভাবে আমাকে জড়ানো হচ্ছে, এদের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব‍্যবস্থা নেব।”

২০১৬ সালে যিনি তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি ছিলেন সেই রাজা রায়চৌধুরী আবার বলেন, “আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। সম্পাদক হিসেবে জিয়াউল রহমানের নাম আছে এবং ওঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। তছরুপ হয়ে থাকলে ওঁরাই তা করেছেন।” তৃণমূলের একটি অংশ এর বিহিত চেয়ে দলের মধ্যে দাবিও তুলতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের ব্লক কমিটির সদস্য সাদেরুল শাহনাজ বলেন, “দলের লোকের নাম যদি এই রকম ঘটনার সঙ্গে জড়ায়, তাতে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা দলের ক্ষতি করবে। নেতৃত্বের উচিত, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা।’ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এর আগেও দল দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যেই জড়িয়ে থাক, প্রমাণ পেলে দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।’ কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখেরও আশ্বাস, “যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Kaliganj TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy