ছবি: সংগৃহীত
ডেঙ্গুর মশার লার্ভার খোঁজে এ বার মোবাইল অ্যাপের সাহায্য নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
সাধারণ মানুষ রাস্তাঘাটে চলতে কোথাও জমা জলে মশার লার্ভা দেখলে ছবি তুলে সেই অ্যাপে আপলোড করতে পারবেন। ব্লকের স্বাস্থ্য কর্তারা তা সঙ্গেসঙ্গে দেখতে পারবেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করা হবে বলে স্বাস্থ্যকর্তারা জনিয়েছেন।
যেহেতু নদিয়া জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ অনেকটা বেশি তাই কলকাতা থেকে এখানে পাঠানো হয়েছিল বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকদের। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ঠিক কী ভাবে কাজ করতে হবে, তা তাঁরা শিখিয়ে গিয়েছেন। জেলা ও মহকুমা স্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি সমস্ত হাসপাতালের সুপার, বিএমওএইচ, পুরসভার হেলথ অফিসার ও হেলথ ম্যানেজারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যে ব্লক ও পুরসভা এলাকায় একেবারে তৃণমূল স্তরে যাঁরা ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ করেন সেই ‘ভিলেজ রিসোর্স পার্সন’ ও লার্ভা নিধন টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই পুরসভা এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি প্রতিরোধ ও মোকাবিলার কাজ শুরু হবে। জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তার দাবি, “এপ্রিলে পুরভোট হওয়ার সম্ভাবনা। তাই পুর এলাকায় মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করতে হবে। না হলে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের আওতায় পরে যেতে হবে।” জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীত দেওয়ান বলেন, “ড্রোন ও মোবাইল অ্যাপ তো থাকছেই, আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত। সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছি ডেঙ্গি মোকাবিলায়।”
২০১৭ সালে নদিয়া ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার। ২০১৮ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১১০০। কিন্তু ২০১৯ সালে সেটা এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৮০০০। বিশেষ করে হরিণঘাটা, রানাঘাট-১ ও ২ ব্লক, কৃষ্ণনগর-১, নবদ্বীপ, হাঁসখালির মত ব্লকে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ ছিল। এ বার তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না স্বাস্থ্যকর্তারা। রাজ্যের অন্য অংশের মতো নদিয়াতেও এ বার মশার লার্ভা দমনে ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হবে। ড্রোন-ই ছড়াবে কীটনাশক। বিভিন্ন ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যেখানে মানুষের পক্ষে যাওয়া অসম্ভব অথচ প্লাস্টিকের ব্যাগ, পাত্র, ডাবের খোলা, টায়ার-সহ বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে জল জমে ও লার্ভা জন্মায় সেখানে পৌঁছবে ড্রোন। বড় জলাশয়ে ড্রোনের সাহায্যে লার্ভা মারার তেল স্প্রে করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy