Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kalyani Medical College

ডাক্তারি ছাত্রীকে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ! কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতারা

কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ২৮ এপ্রিল কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য হঠাৎই এক পক্ষ অনুষ্ঠান বয়কট করে।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১০
Share: Save:

সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে তৃণমূল ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছে। তার পর মারধর এবং শ্লীলতাহানি করা হয়। এমনই অভিযোগ নিয়ে আগেই পুলিশের দ্বারস্থ হলেন কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া। তাঁর শাস্তির দাবিতে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন অভিযোগকারিণী। তাঁর দাবি, কয়েক জন ছাত্রনেতা দরজা ভেঙে তাঁর ঘরে ঢুকে বিছানা এলোমেলো করেন। বাধা দিতে গেলে নাকে ঘুষি মারা হয়। এমনকি, পুলিশের কাছে জানানো অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য কলেজের অধ্যক্ষও তাঁকে চাপ দেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানোয় তাঁর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নও শেষ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তেরা। অভিযুক্ত এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘‘পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন ওই চিকিৎসক পড়ুয়া।’’

কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ২৮ এপ্রিল কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য হঠাৎই এক পক্ষ অনুষ্ঠান বয়কট করে। অনুষ্ঠানের পক্ষে ছিলেন অভিযোগকারী চিকিৎসক ছাত্রী। তাঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানের মহড়া চলছিল। তখনই ছাত্র সংগঠনের কয়েক জন হস্টেলের ঘরের দরজা ভেঙে ওই ডাক্তারি ছাত্রীর ঘরে ঢোকেন বলে অভিযোগ। শ্লীলতাহানি এবং যৌন হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। পরবর্তী কালে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। এখন নতুন করে অভিযোগকারিণী দাবি করেছেন, তাঁকে বার বার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ‘নির্যাতিতা’র অভিযোগ, “ঘরের দরজা ভেঙে ঢোকে কয়েক জন। খাট উল্টে দেয়। লাথি মারা হয় আমাকে। জলের ড্রাম দিয়েও আমার মাথায় মারতে যায় এক জন। তার পর আমাকে ঠেলে বিছানায় ফেলে দেওয়া হয়। নাকে ঘুষি মারে। থ্রেট (হুমকি) করা হয়, পাঁচ বছর তো এখানে থাকতে হবে। বলা হয়, ‘আমাদের বিরুদ্ধে গিয়ে কী ভাবে থাকবি?’ যে রকম ভয় পেয়েছিলাম সে দিন, কখনও পাইনি।’’ তিনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন। চিকিৎসক ছাত্রী বলেন, ‘‘ফোন করে তখন প্রিন্সিপ্যাল স্যর বলতেন যেন বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়া হয়।”

অভিযুক্ত চিকিৎসক ছাত্রনেতাদের মধ্যে এক জন বলেন, “আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। আমাকে জড়ানো হয়েছে। ওই সময়ে আমি সভাপতি ছিলাম। কেউ হয়তো আমাকে অপদস্থ করতে চাইছেন।” তৎকালীন অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমি কোনও চাপ দিইনি। ছেলেমেয়েদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছিল। দু’জনের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছিল। তার পর দু’পক্ষই বলেছিল, সেটা মিটিয়ে নেবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

RG Kar Protest Kalyani medical college TMCP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy