করোনা-বিধি মেনেই বিয়ে বহরমপুরের মন্দিরে। নিজস্ব চিত্র
করোনা ভাইরাসের জন্য দূরত্ববিধি মেনে চলতে হচ্ছে। থমকে গিয়েছে নানা সামাজিক অনুষ্ঠান। অথচ থমকায়নি ‘সময়’। বদলায়নি বিশুদ্ধ পাঁজির শুভক্ষণও। করোনা ত্রাসে শুধু পিছিয়ে গিয়েছে বিয়ের দিন, জন্মদিন, মুখে ভাতের দিনক্ষণ। কিন্তু অপেক্ষারও ধৈর্য থাকে। লকডাউনের মাঝে যদিও বা কিছুটা ছাড় মিললো তাতেও আবার বাদ সাধল মাত্রা ছাড়া করোনা সংক্রমণ। আর হপ্তায় দু’দিন ঘরবন্দি কাটিয়ে সপ্তাহ এখন পাঁচদিনে ঠেকেছে। সেই ফাঁক গলে পুরহিতকে রাজি করিয়ে দিনের আলোতেই তড়িঘড়ি মালাবদল সেরে নিচ্ছেন কেউ কেউ। অবশ্য ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মালাবদল করছেন তাঁরা।
যেমন কান্দির প্রদীপ নন্দনের সঙ্গে বহরমপুরের হরিদাসমাটির সোমা সরকারে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বৈশাখে। লকডাউনের জন্য হতে পারেনি। এখন শ্রাবণের মাঝামাঝি। আর অপেক্ষা করেননি তাঁরা।
রবিবার এক ভাই, দিদি আর পিসেমশাইকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বহরমপুরে ভাগীরথী লাগোয়া এক মন্দিরে। সেখানেই শুভদৃষ্টি, মালাবদল ও সিঁদুর দান। ভোজের পাট ছিল না। শুধু মিষ্টিমুখ। বিয়ে সেরে প্রদীপ বলছেন, “কী করব, উপায় নেই।’’ খাওয়াদাওয়া হয়নি। বরং করোনা-বিধি মেনে বর-কনে লালারস পরীক্ষা করিয়ছেন। নেগেটিভ এসেছে। বিয়ে হল মাস্ক পরে। সামান্য যে ক’জন উপস্থিত ছিলেন, তাঁরাও মাস্ক পরেছিলেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে নববধূ সোমা লাজুক হেসে বলছেন, “বিয়ে তো নয়, এ যেন যুদ্ধ জয়।” স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য পরিষ্কার বলছেন, এখন এমন অনুষ্ঠান যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy