তৃণমূলের গোষ্ঠকোন্দল ভরতপুরে। প্রতীকী চিত্র।
বিধানসভা ভোটের শুরু থেকেই শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন পিছু ছাড়ছে না ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। শনিবার সন্ধ্যায় ভরতপুরে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ের গিয়ে হুমায়ুনের অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে ভরতপুর ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলামের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় পুলিশ দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, “মারপিটের ঘটনায় দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
গত বিধানসভা ভোটে শক্তিপুর থানার মানিক্যহারের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীরকে ভরaতপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে দ্বন্দ্বের সূচনা হয়েছিল। পরে ভোটের বৈতরণী পেরিয়ে অবশেষে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন হুমায়ুন। তারপর কেটে গিয়েছে দু’বছর। কিন্তু এখনও দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব মেটেনি। যদিও হুমায়ুন বলেন, “দলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। নিজেদের ক্ষমতা দখলের লড়াই করতে গিয়ে মারপিট করছে।”
তার পরেও হুমায়ুনের বক্তব্য, ‘‘ব্লক সভাপতি নজরুল নিজে পৃথক ভাবে নিজের মনের মতো করে ব্লক কমিটি থেকে অঞ্চল কমিটি গঠন করছেন। একে ওকে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট দেওয়ার কথা বলে বেড়াচ্ছে। কর্মিসভা করছে। কিন্তু কোনওটাই আমাকে জানাচ্ছে না। আমি বিধায়ক, আমাকে জানানো জরুরি বলেই মনে করি।”
গত শুক্রবার বিকেলে ভরতপুরের বিধায়ক কার্যালয়ে হুমায়ুন তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে ব্লক সভাপতি নজরুলকে ডাকেননি হুমায়ুন। সেখানে হুমায়ুন জানিয়ে দেন, “পঞ্চায়েতের টিকিট আমাদের প্রদেশ নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে একশো শতাংশ না পারলেও পঞ্চাশ শতাংশ নিয়ে আসবো।” তারপরে শনিবার ফের দলীয় কার্যালয়ে দলের কর্মীদের নিয়ে বসেছিলেন হুমায়ুন। সেই সময় আচমকা ভরতপুর ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুলের অনুগামীরা গিয়ে বাঁশ, লাটি, ইট দিয়ে মারধর শুরু করে। তাতে হুমায়ুনের চার জন অনুগামী গুরুতর জখম হন।
রাতেই গুরুতর জখম মেহেবুব শেখের পরিবারের পক্ষ থেকে ভরতপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তারপরেই পুলিশ ওই রাতেই আকাশ মিরকে গ্রেফতার করে। পরে রবিবার দুপুরে সায়ের আলিকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ভরতপুর ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল বলেন, “ধৃতেরা আমার সঙ্গেই তৃণমূল করে। আমাদের নিজেদের মধ্যে হয়েছে। আমরা মিটিয়ে নেব।” অভিযুক্ত আকাশকে কান্দি আদালতের জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৌকত সরকারের এজলাসে তোলা হলে অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে ৯ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, “যারা তৃণমূলের পতাকার নীচে থেকে দল করবে, তাদের এমন আচরণ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, “ওই ঘটনা যাঁদের মধ্যে হয়েছে তাঁরা দু’জনেই অভিজ্ঞ নেতা বলে মনে করি। এ ধরনের ঘটনা দলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটায় না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট, সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ ক??? ????রতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy