নিজস্ব চিত্র।
সম্পত্তি হাতানোর জন্য মামাকে তিলে তিলে মারার ছক কষেছিল সে। লাশ গুম করার জন্য রান্নাঘরের মাটির মেঝে খুঁড়ে গর্তও করে রেখেছিল। এই অভিযোগে বিপুল মণ্ডল নামে কুপার্সের এক যুবককে বৃহস্পতিবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অচৈতন্য অবস্থায় মামা উদ্ধার হলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও তিনি মারা যান। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত অপরাধ কবুল করেছে। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। আজ, শুক্রবার তাকে রানাঘাট আদালতে হাজির করানোর কথা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মন্টু সিকদার (৫০)। তাঁর কিছু জমিজমা আছে। মন্টুদের বাড়ির কাছেই, কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বোনের ছেলে বিপুলের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাস। সে মাঝে-মধ্যে মামাকে দেখাশোনা করত। শুক্রবার থেকে মন্টুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আত্মীয়েরা বিপুলকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, “মামা বাইরে চিকিৎসা করাতে গিয়েছে।” সন্দেহ হওয়ায় বুধবার মন্টুর দাদা-দিদিরা বিপুলের বাড়িতে গেলে সে তাঁদের ধাক্কাধাক্কি করে পালিয়ে যায়। ঘরের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় মন্টুকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তড়িঘড়ি রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। পুলিশের দাবি: জেরায় বিপুল স্বীকার করেছে যে সম্পত্তির লোভে সে মামাকে খুন করার ছক কষেছিল। গত কয়েক দিন ধরে সে মামাকে খেতে দিচ্ছিল না। তবে বিষাক্ত কিছু সে খাইয়েছিল কি না তা স্পষ্ট নয়। রান্নাঘরের কাঁচা মেঝেতে সে লম্বায় প্রায় চার ফুট, চওড়ায় প্রায় দু’ফুট এবং গভীরতায় প্রায় আড়াই ফুট মাপের গর্ত খুঁড়েছিল। মামার মৃতদেহ মাটি-চাপা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে বিপুল ওই ‘কবর’ খুঁড়ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি। মন্টুর দাদা-দিদিরা এসে পড়ায় সে বেগতিক বুঝে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল। কিন্তু বুধবার রাতেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। মৃতের দাদা মনোরঞ্জন সিকদার অভিযোগ দায়ের করা পর বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy