Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Madrasha

ট্যাবের টাকা কবে, ফাঁপরে মাদ্রাসাগুলি

রাজ্যের সমস্ত স্কুল, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের এক জায়গায় নিয়ে আসতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষা দফতর চালু করে ওয়েব পোর্টাল ‘বাংলার শিক্ষা’।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

মফিদুল ইসলাম
হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৩৯
Share: Save:

‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে তারা নেই। অনলাইনে তথ্য নথিভুক্ত করতে না পারায় মাদ্রাসার পড়ুয়াদের সরকারি খরচে ট্যাব পাওয়ার সম্ভাবনাও তাই অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে। এর ফলে বিভিন্ন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের মতো পড়ুয়াদের কাছেও শিক্ষা দফতরের ঘোষণা করা অনলাইনের সহযোগী ট্যাব-প্রাপ্তি আপাতত অনিশ্চিত।

রাজ্যের সমস্ত স্কুল, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের এক জায়গায় নিয়ে আসতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষা দফতর চালু করে ওয়েব পোর্টাল ‘বাংলার শিক্ষা’। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিকে এই পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করলেও সমমান ও একই পাঠক্রমের মাদ্রাসাগুলিকে এই পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে মাদ্রাসার যাবতীয় কাজকর্ম হয় আগের মতো।

শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে জেলায় মাদ্রাসার সংখ্যা ১০৪টি। তার মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পাঠক্রম রয়েছে ৫৭টি মাদ্রাসায়। করোনা আবহে প্রায় ৮ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইন ক্লাশ শুরু হলেও গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ পড়ুয়ার স্মার্টফোন না থাকায় আতান্তরে অনলাইন ক্লাসও। পরীক্ষার সময়সূচি পিছোলেও সময় খুব বেশি নেই। অন্তত অনলাইনে দড় হয়ে ওঠার পক্ষে সময় বেশ কম বলেই মনে করছেন শিক্ষকেরা।

সে কথা ভেবে সম্প্রতি সমস্ত উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষা দফতর থেকে প্রতিটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে পড়ুয়াদের তথ্য, ব্যাঙ্কের তথ্য আপলোড করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। ব্যতিক্রম মাদ্রাসাগুলি। সেখানকার প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলছেন শনিবার পর্যন্ত ট্যাব সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা তাঁদের কাছে আসেনি। ফলে আদৌ সে টাকা পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। শনিবার জেলা ডিওএমএ (ডোমা) সুমন পোদ্দার বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনও নির্দেশিকা পর্যন্ত আসেনি।’’ তবে সমস্যার কিছু একটা সুরাহা হবে ধরে নিয়ে শনিবার থেকে বিভিন্ন মাদ্রাসায় উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের কাছ থেকে ব্যাঙ্কের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

হরিহরপাড়ার গোবরগাড়া হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমাদের কাছে নির্দেশিকা না এলেও ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ম্যানুয়ালি রেডি রাখছি। মাদ্রাসাগুলিকে পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে কাজের অনেক সুবিধা হত।’’ আশ্বাস মিলেছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমর কুমার শীলের কথাতেও, ‘‘বিষয়টি মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরকে জানিয়েছি। আশা করছি সকল উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া ট্যাব কেনার টাকা পাবে। মাদ্রাসাগুলিকে বলা হয়েছে পড়ুয়াদের তথ্য সংগ্রহ করে ম্যানুয়ালি রেডি রাখতে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Madrasha Tab Money
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy