রানাঘাট থানা ঘেরাও করল বিজেপি। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
ভোট গ্রহণ পর্ব মিটে যাওয়ার পর বিজেপির এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাটের আইশতলায়। এ নিয়ে রানাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিবু মণ্ডল নামে ওই বিজেপি নেতা। যদিও তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে।
শিবু জানান, হামলার মুখে পড়ে তিনি ও তাঁর ভাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই সময় তাঁর মা পারুল মণ্ডলকে মারধর করা হয় এবং বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পারুলের মাথা ফেটে যায়। তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গেলে বিজেপির আর এক নেতা শুভঙ্কর দেবনাথকেও তৃণমূলের লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এর পর শিবুর বাবা সঞ্জীবন মণ্ডল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি বলেন, “আমার ছেলেকে এজেন্ট হতে বারণ করেছিল তৃণমূল। তা সত্ত্বেও সে এজেন্ট হয়েছিল। তাই তাকে মারতে গিয়েছিল।” আহত শুভঙ্কর বলেন, “রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে আমাদের দলের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে কাজ করার জন্য আমাদের উপর আক্রমণ করেছে তৃণমূল। আমাকে মেরে ফেলাই ওদের উদেশ্য ছিল। কোনও রকমে বেঁচে গিয়েছি।’’ পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, মারধর করার সময় তাঁর গলার সোনার চেন এবং টাকা ছিনতাই করে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তরফেও শিবুর বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের দাবি, এলাকার তৃণমূল কর্মী শম্ভু ঘোষ ও তাঁর ছেলেকে আগেই মারধর করেছে শিবু। তাঁদের বাঁচাতেই এলাকার লোকজন শিবুকে তাড়া করে। শম্ভুর ছেলে রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি বলে জানিয়েছে তৃণমূল। রানাঘাট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, “ওই এলাকায় শম্ভু ঘোষ নামে আমাদের দলের এক কর্মী এবং তাঁর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল শিবু মণ্ডল ও তার লোকজন। তারা মারধর করছিল। সেখানে শুভঙ্করও দাঁড়িয়েছিল। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকার লোকেরা ছুটে আসেন। তাঁরাই শিবুদের তাড়া করেন।ওরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।’’ পাশাপাশি তাঁর দাবি, শিবু নিজের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে তাঁদের নামে দোষ দিচ্ছে। তাঁদের দলের কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অন্য দিকে, চাকদহ শহরের ১০৬ নম্বর বুথের সিপিএম এজেন্ট শ্যামল দাসকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ বুথ থেকে বাইরে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত তিনি চাকদহের বাড়িতে আছেন। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
নবদ্বীপেও বিজেপির এক পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোটের দিন নবদ্বীপ পুর এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ৯০ নম্বর বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন বিশ্বরূপ দাস। অভিযোগ, ভোটের দিন রাতে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করে। বিজেপির নবদ্বীপ উত্তর মণ্ডল সভাপতি শঙ্কর গোস্বামী বলেন, “বিশ্বরূপকে কিছু দিন ধরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সুবিধা করতে পারেনি। তাই এই হামলা।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্বরূপের বিরুদ্ধে পাল্টা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy