জাহাঙ্গিরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে। — নিজস্ব চিত্র।
ঋণের শেষ কিস্তির টাকা কিছুতেই শোধ করছিলেন না গ্রাহক। বাধ্য হয়ে ঋণপ্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি গ্রাহকের বাড়িতে গিয়েছিলেন টাকা চাইতে। সেই প্রতিনিধিকেই খুন করার অভিযোগ উঠল গ্রাহকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এখনও অধরা অভিযুক্ত।
গ্রামীণ ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন নিমেষ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। বেশির ভাগ কিস্তি শোধ হয়ে গেলেও দীর্ঘ দিন ধরে বাকি ছিল শেষ কিস্তির আড়াই হাজার টাকা। কিস্তির সেই টাকা চাইতে সোমবার নিমেষের নওপুকুরিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই ঋণপ্রদানকারী সংস্থার ফিল্ড অফিসার ৩৫ বছরের জাহাঙ্গির আলম। কিন্তু অভিযোগ, নিমেষ টাকা দিতে অস্বীকার করেন। সেই সময় জাহাঙ্গির ডেকে আনেন তাঁর ঊর্ধ্বতনকে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই নিমেষের বাড়িতে চলে আসেন জাহাঙ্গিরের ম্যানেজার সুজন হালদার। দু’জন মিলে বোঝালেও টাকা পাননি। ব্যর্থ হয়ে ফেরার পথ ধরেন জাহাঙ্গির এবং সুজন।
ফেরার পথে বাইকআরোহী দু’জনের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে নিমেষের বিরুদ্ধে। বাইক থেকে মাটিতে পড়ে গেলে জাহাঙ্গিরকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় অন্ধকার রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ছিলেন জাহাঙ্গির। সুজন এক টোটোচালকের সহায়তায় জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে বেলডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু, এমনটাই দাবি হাসপাতালের। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত জাহাঙ্গিরের বাড়ি মুর্শিদাবাদেরই সাগরপাড়ায়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে জাহাঙ্গিরের দেহ। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত নিমেষ। মৃতের পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত নিমেষের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চলছে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘পুলিশ পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রতক্ষ্যদর্শীর বয়ানও রেকর্ড করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy