প্রতীকী ছবি।
কামরা ভিড়ে ঠাসা। গাদাগাদি করে রাখা রয়েছে প্রচুর ব্যাগ। পণ্য রাখার নির্দিষ্ট জায়গা তো বটেই, এমনকি দুই সিটের মাঝের ফাঁকা অংশেও ভর্তি পণ্য। নিত্যদিনের এই ঘটনায় সন্দেহ বাড়াচ্ছিল শুল্ক দফতরের। বুধবার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণ ভারতীয় মদ সিগারেট ও অন্যান্য প্রসাধনী। পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্র খবর আসে, বুধবার এক দল পাচারকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসের একটি কামরায় প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় পণ্য অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছে। খবর পাওয়ার মাত্রই শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা আরপিএফকে সতর্ক করে। মৈত্রী এক্সপ্রেস গেদে স্টেশনে থামার সঙ্গে সঙ্গেই বিএসএফ ও আরপিএফ যৌথ তল্লাশি শুরু করে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে অবৈধ ভারতীয় পণ্য। প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারায় সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে ৩৬টি মোবাইল ফোন, ৯২ বোতল বিদেশি মদ, সিগারেট উন্নত পোশাক ওষুধ ও প্রসাধনী বাজেয়াপ্ত করা হয়। উদ্ধার হওয়া পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ন’জন ভারতীয় ও ছ’জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পাচারের যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ভারতীয় যুবক মহম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে বড় বাজার থেকে মাল নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছে দিই। প্রতি ট্রিপে আমাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। প্রায় প্রতি ট্রেনে আমরা যাতায়াত করি।’’ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (জনসংযোগ) একে আর্য বলেন, ‘‘বাংলাদেশি যাত্রীরা প্রায়ই সহজে অর্থ উপার্জনের জন্য পাচারের চেষ্টা করে। বিএসএফ জওয়ানোর সতর্কতার সঙ্গে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy