চাকদহের সভামঞ্চে। বৃহস্পতিবার। ছবি: সৌমিত্র সিকদার।
সভামঞ্চে নেতানেত্রীর ভিড় ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় সাধারণের ভিড় তেমন দেখা গেল না চাকদহে। অন্তত যশড়া ফুটবল খেলার মাঠে যে দশ হাজারের জমায়েত করার কথা বলছিল বিজেপি, সংখ্যাটা তার ধারে-কাছেও যায়নি।
আবহাওয়া অবশ্য বুধবার থেকেই প্রতিকূল ছিল। বিজেপির চাকদহ বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক সুকুমার করঞ্জাইয়ের দাবি, “পাঁচ হাজার লোক এসেছিল। বৃষ্টি না হলে দশ হাজার হত।” চাকদহ শহর তৃণমূল সভাপতি তথা পুরপ্রতিনিধি দেবকৃষ্ণ মজুমদারের পাল্টা দাবি, “হাজার লোকও হয়নি। এ শহরে ওদের সমর্থকই নেই, সভায় যাবে কারা?”
তবে তার আগে শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ১ পঞ্চায়েতের বয়রায় বিজেপির ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসূচিতে ভালই ভিড় হয়েছিল। সেখানে কৃত্তিবাসের স্মৃতি বিজড়িত ভূমি থেকে মাটি সংগ্রহ করেন শুভেন্দু। রামমন্দির নির্মাণের সময়েও বয়রা থেকে মাটি ও ভাগীরথীর জল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ বার শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির পাশাপাশি ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। বিকাল ৪টে নাগাদ শুভেন্দু আসার আগেই সেই সব এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকেরা এসে ভিড় জমান।
কৃত্তিবাস স্মৃতি বিদ্যালয়ের মাঠে এই কর্মসূচিতে মাইক এবং বিভিন্ন বাজনার আওয়াজে শেষ দিকের দু’তিনটি ক্লাস চালাতে সমস্যা হয় বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের। প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, "দুপুর ৩টে থেকে মাইক বেজেছে। ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। তা বলার পরে কিছুক্ষণ মাইক বন্ধ রাখা হয়। পরে আবার শুরু হয়। শেষ ক্লাস নেওয়া যায়নি।"
যদিও শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি, বিজেপির চঞ্চল চক্রবর্তীর দাবি, "স্কুল ছুটির পরে মাইক বেজেছে।" কিন্তু স্কুল লাগোয়া মাঠে কী ভাবে এই কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হল? প্রধান শিক্ষকের দাবি, "আমি অনুমতি দিইনি। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতির থেকে অনুমতি মিলেছে।" একাধিক বার ফোন করা হলেও পরিচালন সমিতির সভাপতি অজয় ঘোষ তা ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy