—প্রতীকী চিত্র।
রাত সওয়া ১০টা নাগাদ ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর শেষ বার ফোনে কথা হওয়ার পর কি তাঁদের আর দেখা হয়েছিল? সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যত দূর পাওয়া যাচ্ছে তাতে সেই সম্ভাবনা কম। পুলিশ সূত্রের দাবি, ধৃত ‘প্রেমিক’ ওই রাতে ঘটনাস্থলের দিকে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। আপাতত ফরেন্সিক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।
গত ১৫ অক্টোবর রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ বছর আঠারোর ওই তরুণীকে ঘটনাস্থলের দিকে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে। এটাই শেষ ফুটেজ। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ মাঠের পাশ দিয়ে গিয়েছে সেই রাস্তা। ঘটনাচক্রে, সেই সময় ওই যুবক ওই মাঠেই ছিল। তাকে জেরা করে এবং বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করে এমনটাই জেনেছে পুলিশ। তবে ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রীটি কলেজ মাঠের দিকে না গিয়ে রাস্তা ধরে সোজা চলে যাচ্ছেন। সে দিকে এর পর আর সিসি ক্যামেরা নেই, ফলে আর ফুটেজ পাওয়া যায়নি। সেই রাস্তা চলে গিয়েছে ঘটনাস্থলের দিকে, শেষ ক্যামেরা থেকে যার দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটারের মতো। এর পর রাত ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সিসি ক্যামেরায় ওই যুবককে মাঠ থেকে বেরিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে বাড়ির দিকে যেতে দেখা যায়।
পুলিশ সূত্রের দাবি: জেরায় যুবকটি দাবি করেছে যে ওই রাতে সে ঘটনাস্থলের দিকে যায়নি। কলেজ মাঠ সংলগ্ন বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ছবিও তেমনই ইঙ্গিত করছে। গত কয়েক দিনে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একাধিক দল দফায় দফায় ঘটনাস্থলে এসেছে। সংগৃহীত হয়েছে নানা নমুনা। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়ার একটি প্লাস্টিক বোতলের (যাতে কেরোসিনের কলানি পড়ে ছিল) গায়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ধৃত যুবকেরও ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে তা পাঠানো হয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। ময়না তদন্তের সময়ে মৃত ছাত্রীর ফিঙ্গারপ্রিন্টও নেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবারই ধৃত যুবককে ফের পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। রহস্যের জট ছাড়ানোর জন্য তাকে টানা জেরা করা হচ্ছে। তবে যাবতীয় পরীক্ষার রিপোর্ট শুক্রবার পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান তথা কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, “আমরা ওই সব রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy