প্রতীকী ছবি।
কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের ছায়া পড়ল কান্দির বোলতুলি গ্রামে।
ঘাস খাওয়াতে ছাগল বাঁধা ছিল মাঠে, পাড়ার সারমেয়কুল কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করেছিল তাকে। বিকেলের মধ্যেই মারা গিয়েছিল ছাগলটি।
বোলতুলির সুব্রত পাল তারই বদলা নিল, বিষ মেশানো খাবার ছুঁড়ে দিয়ে। পাড়ার ওই কুকুর-কুল সে খাবার খেয়ে রাতের মধ্যেই দেহ রাখল। সাতটি কুকুর মারার দায়ে পুলিশ আটক করেছে সুব্রতকে।
কলকাতার এনআরএস চত্বরে দিন কয়েক আগেই ঘটেছে এমন ঘটনা। কুকুরের হট্টগোল থামাতে এনআরআসের বেশ কয়েক জন নার্সের বিরুদ্ধে একই ভাবে উঠেছিল কুকুর নিধনের অভিযোগ। কখনও পিটিয়ে কখনও বিশ মাখানো রুটি খাইয়ে একে একে মারা হয়েছিল ২২টি কুকুরকে। এ বার তেমনই প্রতিশোধ-স্পৃহা দেখল কান্দির ওই গ্রাম। এনআরএসের ওই কান্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় শোরগোল পড়েছিল পশুপ্রেমী সংগঠনের মধ্য়ে। জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। সাময়িক ভাবে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল ওই নার্সদের। বোলতুলিতে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অবশ্য সটান আটক করেছে ওই যুবককে।
তবে, নাতি সুব্রতকে ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করতে ঠাকুমা রেণুকা পাল বলছেন, ‘‘সুব্রত নয়, ছাগল মেরে ফেলার জন্য আমিই বিষ মেশানো তেলেভাজা কুকুরগুলোকে খাইয়েছি। দোষ তো আমার, নাতির নয়!’’
গ্রামবাসীরা জানান, সুব্রতর বড় আদরের ছিল ওই ছাগলটি। রোজই তাকে মাঠে বেঁধে রাখা হত, ঘাস খাওয়ার জন্য। তবে পাড়ার গোটা কয়েক কুকুর যে তাকে ঘিরে ধরে এমন ক্ষতবিক্ষত করতে পারে তা বাবতেই পারেননি সুব্রতর বাড়ির লোক। সেই রাগেই বিষ দিয়ে মারা হয় কুকুরগুলিকে।
রাতারাতি পাড়ায় একের পর এক কুকুর-মৃত্যুর ঘটনায় পড়শিদের বুঝতে সময় লাগেনি এ কাজ কার। রাতেই স্থানীয় দুই পশুপ্রেমী শুভাশিস ঘোষ ও মৃন্ময় ভট্টাচার্য কান্দি থানায় গিয়ে সুব্রতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মৃন্ময় বলছেন, “একটি ছাগলকে মেরে ফেলার জন্য বিষ দিয়ে সাতটি কুকুরকে খুন করার কোনও অধিকার নেই সুব্রতর। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’’
কান্দির থানার আইসি প্রশান্ত পাত্র বলেন, “অভিযুক্তকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy