আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুরু হয় আন্দোলন। —ফাইল চিত্র।
টানা ১১ দিনের কর্মবিরতি শেষে কাজে যোগ দিলেন কল্যাণী এমসের আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যুবতী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকেরা। তাতে শামিল হয় কল্যাণী এমস-ও। তবে শুক্রবার আন্দোলন প্রত্যাহার করে চিকিৎসা পরিষেবার কাজে যুক্ত হয়েছেন ইন্টার্ন এবং আবাসিক চিকিৎসকেরা। স্বস্তিতে রোগী এবং রোগী পরিবার।
প্রায় দুই সপ্তাহ ওই কেন্দ্রীয় হাসপাতালে বহির্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ ছিল। তাই গত কয়েক দিনে রোগীদের ভিড় কম ছিল। বেশ কিছু বিভাগে অবশ্য পরিষেবা দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শুক্রবার কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেও জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। কল্যাণী এমসের চিকিৎসক সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘সব জুনিয়র এবং রেসিডেন্সিয়াল ডাক্তার কাজে যোগ দিয়েছেন। আউটডোর পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক। তবে আন্দোলন থেকে কেউই সরে আসেননি। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চলছে এবং চলবে।’’
নদিয়ার আর এক বড় হাসপাতাল জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজেও ১৩ দিনের কর্মবিরতি শেষে কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কর্মবিরতি নিয়ে সুর নরম মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদেরও। আন্দোলন চললেও কাজে ফিরতে চাইছেন জুনিয়র ডাক্তার থেকে ইন্টার্নরা। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতির ১৪তম দিনে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভে শামিল হন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তবে তাঁরা এ-ও জানাচ্ছেন, মানুষকে পরিষেবা দিতে কাজে ফিরছেন। বিবেককুমার মাল নামে এক ইন্টার্নের কথায়, “আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসব। কী ভাবে পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়, সে নিয়ে আলোচনা করব।’’ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবেদন জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তার পরই দিল্লি এমসের জুনিয়ার ডাক্তারেরা কর্মবিরতি তুলে নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy