আচমকা তৈরি হওয়া রাস্তা এবং পয়ঃপ্রণালী পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিধায়ক। নতুন রাস্তা দেখে তাঁর মনে হয়েছে, গুণগত মান খুব খারাপ। সেই নিয়ে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালেন বিধায়ক। ভরা রাস্তার উপরে সে নিয়ে তিনি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে বলে বসলেন, কাটমানির বিনিময়ে তিনি ঠিকাদার ঠিক করেছেন। জবাব দিলেন পুরসভার চেয়ারম্যানও। বিধায়কের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, প্রমাণ দিতে পারলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করবেন তিনি।
সোমবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন এবং জঙ্গিপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ চৌধুরীর কথা কাটাকাটি এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে, অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল।
সোমবার জঙ্গিপুর পুরসভার ১, ২, ৪ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা এবং পয়ঃপ্রণালীর কাজ দেখতে বেরিয়েছিলেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির। পরিদর্শনের পর তাঁর মনে হয়েছে, সরকার নির্দিষ্ট গুণমান মেনে রাস্তা, পয়ঃপ্রণালী কোনওটাই হয়নি। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তার কাজ দেখে মেজাজ হারান তিনি। পাশে দাঁড়ানো পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে সকলের সামনে দোষারোপ করেন। বলেন, ‘‘কাটমানি খাচ্ছ?’’ শুনে তেতে ওঠেন ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ। তিনি জানান, একেবারেই ভুল কথা বলছেন বিধায়ক। তাঁকে সকলের সামনে অপমানিত করছেন জাকির। তিনি বলেন, ‘‘প্রমাণ করুন (কাটমানির অভিযোগ)। আগামিকালই পদত্যাগ করব।’’ জাকিরও বলেন, ‘‘হ্যাঁ, পদত্যাগ কোরো।’’ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:
পরে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘যখন কাজ হয়েছে, আশপাশের দোকানদার, স্থানীয় লোকজন সকলেই দেখেছেন। তখন বিধায়ককে কেউ অভিযোগ করেননি। উনি হঠাৎ পরিদর্শনে এসেছেন। তাঁকে সম্মান জানাচ্ছি। কিন্তু তাই বলে যা ইচ্ছা তাই বলবেন, সেটা তো মেনে নেব না। অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে।’’ এই বলে গজরাতে গজরাতে চলে গিয়েছেন সন্তোষ। অন্য দিকে, জাকিরও তাঁর অভিযোগে অনড়।