প্রতীকী চিত্র।
লকডাউন শুরু হওয়ার প্রথম দিকে সংবাদপত্র ছাপানো হলেও আমাদের এলাকায় তা কয়েকদিন বিলি হয়নি। তখন খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছিলাম করোনা ভাইরাসের ছুৎমার্গ থেকে হকাররা বিলি বন্ধ রেখেছিলেন। ফলে সে সময় সংবাদপত্র হাতে না পেয়ে মনে কষ্টে দিন কাটিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ছুৎমার্গ ভুলে ফের সংবাদপত্র এলাকায় আসছে।
কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে খবরের কাগজ পড়া বন্ধ করা ঠিক হবে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় খবরের কাগজ পড়া বন্ধ করে দিলে একদিকে যেমন ঠিক খবর পাওয়া থেকে লোকজন বঞ্চিত হবেন, তেমনই অপরদিকে অন্ধত্বকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। সংক্রমণ যখন থেকে শুরু হয় তখন থেকেই বলে এসেছি কাগজের উপরিভাগে ভাইরাস বাঁচতে পারে না। মৃত অবস্থায় কোনও ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটাতেও পারে না। সংক্রমণ ঘটাতে গেলে তাকে অবশ্যই কোনও জীবিত বস্তুর সংস্পর্শে আসতে হবে। আর জীবিত বস্তুর সংস্পর্শে আসার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করে মানুষের হাঁচি, কাশি, লালারস। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে সাধারণত লালারসের মাধ্যমে। সে জন্য কাগজ থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সংবাদপত্র থেকে ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়ে সাবধান করেনি।
লেখক চিকিৎসক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy