প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল দলের নয়া পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা হল না বুধবারেও। গত দেড় বছর ধরে সংগঠনের জেলা কমিটি ঘোষণার তারিখ এ ভাবেই বদলে বদলে গিয়েছে। আর নেতাদের পকেটে পকেটে ঘুরেছে জেলা কমিটির খসড়া তালিকা। তৃণমূল অন্দরের দাবি, প্রত্যেক বারের মত এবারও কমিটি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারায় বুধবারও জেলা কমিটি ঘোষিত হয়নি।
তবে নেতাদের দাবি, জেলায় বুধবার বেলডাঙা দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধনে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এসেছিলেন, আজ, বৃহস্পতিবার শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কায় জনসভা ও কর্মীসভায় অংশ নেবেন আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফলে গতকাল ও আজ জেলা নেতারা ওই সভা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় জেলা কমিটি ঘোষণা পিছিয়ে যায়। আগামীকাল শুক্রবার সেই কমিটি ঘোষণা হওয়ার কথা।
তৃণমূল সূত্রে দাবি, দলনেত্রীর সঙ্গে হালের বৈঠকে যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে তাঁকে গোপন চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হাসান, তার মধ্যে জলঙ্গি বিধানসভা নিয়ে জট কাটলেও জট পেকেছে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে। ওই কেন্দ্রের আটটি অঞ্চল ও দুটি পুরসভার নেতারা জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও বিধায়কের বিরুদ্ধে লিখিত নালিশ জানিয়েছিলেন। বিধায়কের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগের মধ্যেও তাঁদের মূল দাবি ছিল ডোমকলের ভূমিকন্যা মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বিধায়ক শাওনি সিংহ রায়কে সরিয়ে ওই বিধানসভার কোনও ভূমিপুত্রকে আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী করা হোক। পাশাপাশি বিধায়িকের দাবি, তাঁর পছন্দের কেউ মুর্শিদাবাদের শহর সভাপতির পদ পাক। দলের অন্দরের খবর, নির্বাচনের আগে দল বিধায়কের চাওয়া পাওয়াকেই গুরুত্ব দিয়ে তাঁর পছন্দের নেতা ইন্দ্রজিৎ ধরকেই ওই পদের জন্য বেছে নিতে পারে। কিন্তু মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবি, “ ইন্দ্রজিৎ ধর কোন পরিচিতি তৃণমূল নেতা নন। উনি একজন ব্যবসাদার। উনি পদ পেলে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে।” সেই দাবিও সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিতে পারেননি কোর কমিটির নেতারা। ফলে বল যায় রাজ্যের কোর্টে। রাজ্য সবুজ সিগন্যাল না জানানোয় থমকে যান জেলা নেতারা।
পাশাপাশি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন ও সহ-সভাপতি বৈদ্যনাথ দাসকে নিয়েও চিন্তায় জেলা নেতারা। দলে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদ না পেলে নির্বাচনের আগে বেঁকে বসতে পারেন তাঁরা। আবার পদ পেলেও তাঁরা ভোটের মুখে দলবদল করতে পারেন বলেই জেলা জুড়ে জল্পনা। ফলে তাঁদের জায়গায় বিকল্প পরিকল্পনার কথাও ভেবে রাখতে রাজ্য কমিটির সঙ্গে আলোচনা চলছে নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। যাতে নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমে আবার না গোষ্ঠী কোন্দলে দল জড়িয়ে পড়ে। যদিও জেলা সভাপতি আবু তাহের খান সে কথাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “অতি সত্বর আমরা পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা করব।” তবে একের পর এক দিন ঘোষণা করেও সেই কমিটি না ঘোষিত হওয়ায় নয়া জেলা কমিটি নিয়ে আগ্রহ হারিয়েছেন নিচু তলার তৃণমূল কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy