প্রতীকী ছবি।
এ যাবত তাঁর অভিযোগের আঙুল ছিল দলের রেজিনগর বিধায়কের দিকে। সেই তালিকায় এ বার যোগ হল খোদ জেলা তৃণমূল সভাপতির নাম। বিজেপি ফেরত তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর আবু তাহের খানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সম্প্রতি দাবি করেছেন, দলে তাঁর প্রত্যাবর্তন ভাল ভাবে নিতে পারেননি অনেকেই। তাঁকে মেনে নিতে না-পারার পিছনে প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে আবু তাহেরেরও।
নির্বাচনের মুখে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে তৃমমূলের কোন্দল নতুন ঘটনা নয়। হুমায়ুনের এই অভিযোগ সে ব্যাপারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। হুমায়ুন বলেন, ‘‘তৃণমূলে ফিরেছি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতিক্রমে। বহরমপুরে প্রকাশ্য সভায় জেলা নেতৃত্ব সে দিন আমাকে বম করে নিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও রেজিনগর বিধানসভা এলাকায় কোনও সভা-মিছিলে আমাকে ডাকা হয় না। দলের অধিকাংশ কর্মসূচিতেই আমি ব্রাত্য। এতে অবশ্যই জেলা সভাপতির ভূমিকা রয়েছে।’’
বুধবার রেজিনগরে তৃণমূলের দু’টি সভা ঘিরে উত্তাপের পারদ চড়ছিল। কেন্দ্রের কৃষি বিলের প্রতিবাদে রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলমের নেতৃত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি আবু তাহের খান। বুধবার ঠিক সেই সময়েই পাল্টা সভার ডাক দিয়ে ছিলেন হুমায়ুন। স্থান রেজিনগরের রামপাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েত লাগোয়া মাঠে। দু’পক্ষই প্রস্তুত ছিল। পুলিশ একই প্রতীকে দু’টি সভায় সায় দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। পরে অবশ্য জেলা নেতৃত্বের অনুরোধে হুমায়ুন তাঁর সবার দিনক্ষণ পাল্টান। ন। হুমায়ুন বলেন, “দলের কর্মসূচি মেনেই বুধবার কৃষক বিরোধী বিলের প্রতিবাদে মহামিছিল হবে শুনেছি কিন্তু সেখানে আমাকে ডাকা হয়নি। তাই পাল্টা সভার ডাক দিয়েছিলাম। মনে রাখবেন, দলীয় কর্মসূচিতে আমাকে তলব করা না হলে আমিও পাল্টা সবা-মিছিল করব। কারণ দলের কর্মসূচি সফল করা আমার কর্তব্য বলে মনে করি।’’ পরে রাজ্য নেতৃত্বের ডাকে সাড়া দিয়ে ওই সভা যে তিনি বাতিল করেছেন তা-ও কবুল করেন।
আবু তাহের বলেন, ‘‘২২ জানুয়ারি রেজিনগরে সভা ডাকা হয়েছে। হুমায়ুন কবীর-সহ জেলার অনেক নেতা সে দিন থাকবেন। ওই দিন দলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কথা বলে দলের কর্মপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy