Advertisement
E-Paper

গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে গেল বাড়ি, জমি

মঙ্গলবার সকাল থেকে ভাঙন শুরুর খবর পেয়ে এ দিনই ওই এলাকায় কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে, এ কথা জানিয়েছেন সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনীয়র সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

n ভাঙন: দুর্গতেরা ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন যেটুকু সম্ভব। নিজস্ব চিত্র

n ভাঙন: দুর্গতেরা ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন যেটুকু সম্ভব। নিজস্ব চিত্র

বিমান হাজরা , জীবন সরকার 

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:১৫
Share
Save

মঙ্গলবার সকাল থেকেই শমসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ এলাকায় ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে পাঁচটি বাড়ি। তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বিঘা জমিও। আশঙ্কায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে বাসুদেবপুর থেকে কাকুরিয়া হয়ে ধুলিয়ান যাওয়ার রাস্তাটি। তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শ্মশান ঘাট সহ কালী মন্দির। আতঙ্ক ছড়িয়েছে।গত বছর এই এলাকার শ্মশান ঘাটের চুল্লি দু’টি জলে তলিয়ে গিয়েছিল। এ বারে আশঙ্কা শ্মশান ঘাটই তলিয়ে যাবে।গঙ্গা যাঁদের বাড়ির কাছে এসে গিয়েছে তাঁরা বাড়ির আসবাবপত্র অনত্র নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন।

ভাঙনের কবলে পড়া শমসেরগঞ্জের মহেশটোলা ও প্রতাপগঞ্জ এলাকাকে বহু আগেই বিপদজনক ঘোষণা করেছিল রাজ্য সেচ দফতর। ব্লকের বিডিও-র পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে ১৬ লক্ষ টাকার টেন্ডার করে ওয়ার্ক অর্ডারও জারি হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই মঙ্গলবার সকাল থেকে ভাঙন শুরুর খবর পেয়ে এ দিনই ওই এলাকায় কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে, এ কথা জানিয়েছেন সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনীয়র সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রায় ৪৫ মিটার এলাকা জুড়ে এই ভাঙন শুরু হয়েছে হঠাৎই। গত কয়েকদিন থেকেই গঙ্গায় জল বাড়ছে ওই এলাকায়। সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়র বলেন, “শমসেরগঞ্জে গত বছর ভাঙন হয়েছিল যে এলাকায় সেই দু’কিলোমিটার অংশে তিন বছর মেয়াদে ভাঙন রোধের কাজ গত বছরই শুরু হয়েছে। এ দিনের ভাঙন হয়েছে ওই এলাকার বাইরে। সেটি ড্যামেজ অবস্থাতেই ছিল। সেই এলাকা ও পাশের এলাকায় কাজের জন্য ১৬ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছে। ভাঙনের জন্য এ দিনই কাজ শুরু করা হয়েছে।”

এ দিন ভাঙন দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান সিপিএমের যুব ও ছাত্র সংগঠনের অনেকেই।

জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের বাড়ি শমসেরগঞ্জেই। তিনি বলেন, “ভাঙন রোধে প্রচুর অর্থের দরকার। রাজ্য সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। সুতি, শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কার বিস্তীর্ণ এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার বাস করে নদীর পাড়ে। নদী আগে ছিল ৫-৭ কিলোমিটার দূরে। আজ তা এসেছে বাড়ির দোরে।তার ফলেই এই সর্বনাশা পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় সরকার ভাঙন রোধে এগিয়ে এলে হয়ত এ দিন দেখতে হত না।”

River Erosion Shamsherganj

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}