আলু বিক্রি। নিজস্ব চিত্র।
বাজারে আলুর দাম কেজি পিছু ৩৩-৩৫ টাকা। আলু কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে ‘জ্যোতি’ আলু ২৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি করা শুরু হল।
শনিবার থেকে মুর্শিদাবাদের সাতটি জায়গা থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। কৃষি বিপণন দফতরের কর্তারা জানান, আলুর বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করতে রাজ্যজুড়ে ‘সুফল বাংলা’ স্টলের পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় কাউন্টার খোলা হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে মুর্শিদাবাদে সেই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, একদিনে একজন গ্রাহক চার কেজি পর্যন্ত আলু কিনতে পারবেন। তবে মুর্শিদাবাদের মতো বড় জেলায় মাত্র সাতটি জায়গায় আলু বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ায় অখুশি জেলাবাসী। তাঁরা জেলা জুড়েই সরকার নির্ধারিত আলুর স্টল খোলার দাবি তুলেছেন। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘আপাতত জেলার সাতটি জায়গায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। চাহিদা থাকলে জেলার অন্যত্রও ধীরে ধীরে আলু বিক্রির জন্য স্টল খোলা হবে।’’
বহরমপুরের বাসিন্দা তারক মল্লিক বলেন, ‘‘যে আলু বাজারে ৩৫ টাকা কেজি, সেই আলু ২৫ টাকায় সুফল বাংলা স্টলে পেলাম। এতে আমাদের খুব সুবিধা হল।’’ তবে ডোমকলের বাসিন্দারা আপাতত হাতের কাছে কম দামে আলু কেনার কোনও স্টল পাচ্ছেন না। সেখানকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘‘সরকার নির্ধারিত ২৫ টাকা কেজি আলু কেনার সুযোগ পাব না কেন আমরা! আমাদের দাবি ডোমকলেও স্টল খোলা হোক।’’ জেলা কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুরের ভাকুড়িতে কৃষক বাজারে, বহরমপুরে স্টেডিয়ামের কাছে সুফল বাংলা স্টল, নবগ্রাম কৃষক বাজারে, কান্দি রেগুলেটেড মার্কেট, জঙ্গিপুরের ওমরপুরে রেগুলেটেড মার্কেট, শমসেরগঞ্জ কৃষক বাজার, সুতির দফরপুরে কৃষক বাজারে আলু বিক্রির জন্য স্টল খোলা হয়েছে।
জেলা জুড়ে আলুর দাম ৩৩-৩৫ টাকা কেজি। সেই দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে হানা না দিয়ে হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় কেন এমন স্টল খোলা হচ্ছে? কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিক অবশ্য জানান, জেলা জুড়ে দুর্নীতি দমন শাখার সঙ্গে কৃষি বিপণন দফতর নিয়মিত বিভিন্ন বাজারে হানা দিচ্ছে। দাম যাতে বেশি না নেয় তার সব রকম কাজ চলছে। একই সঙ্গে সরকার নির্ধারিত দামেও আলু বিক্রি করা হচ্ছে। কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা চারটে পর্যন্ত পর্যন্ত আলু বিক্রির জন্য কাউন্টার খোলা থাকবে। তবে পুজো উপলক্ষে ষষ্ঠীর দিন থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত আলু বিক্রির কাউন্টার বন্ধ থাকবে। বাকি সময়গুলিতে আলু বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন জেলায় প্রায় আড়াইশো কুইন্টাল আলু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। হুগলির হিমঘর থেকে মুর্শিদাবাদে রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির মাধ্যমে জেলায় আলু আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy