সাহাপুরের বাড়িতে চলছে শ্রাদ্ধ-শান্তি। নিজস্ব চিত্র
তখনও চাকরি পায়নি বন্ধুপ্রকাশ। ২০০২ সাল। গ্রামের হাইস্কুলে পরিচিতদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। অনেকের মতো সেখানে হাজির ছিলেন তার বাল্যবন্ধু উত্তম দে’ও। তিনি জানান, একটি বেসরকারি সংস্থার প্যাকেট জাত চা, চিনি, সাবান ইত্যাদি বেচাকেনার জন্য সেই ঘরোয়া আড্ডাতেই আব্দার জানিয়েছিলেন তিনি। উত্তম বলেন, ‘‘বুড়োর (বন্ধুপ্রকাশ) মধ্যে যে একটা ব্যবসায়িক মন বরাবর ছিল সে দিনই বুঝতে পেরেছিলাম।’’
স্কুলে চাকরি পাওয়ার পরেও শুরু করেছিলেন বিভিন্ন সংস্থার বিমার কাজ। এই সময় থেকেই রামপুরহাটের সৌভিক বণিকের সঙ্গে তার আলাপ। একটি নামী সংস্থার পোশাক ব্যবসার হাতেখড়ি হয় বন্ধুপ্রকাশের। পুলিশ জানতে পেরেছে, সৌভিক তখন ওই সংস্থার ম্যানেজার।
এক সময় সে ব্যবসায় যুক্ত হন বন্ধুপ্রকাশের ছাত্র টিটু দাসও। টিটু বলেন, “অত্যধিক দাম ছিল সেই সব পোশাকের। এত দামি জিনিসের ক্রেতা কোথায় গ্রামে! সেই সময় থেকেই
সৌভিককে দেখেছি। ওই শিক্ষকের বন্ধুরা জানান, রামপুরহাটের বিউটির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বন্ধুপ্রকাশের। সৌভিকেরও বাড়ি সেখানেই। বিউটিকে সে চিনত আগে থেকেই। বিয়ের পরেই স্ত্রীর নামে সৌভিকের সঙ্গেই একটি নতুন সংস্থার বিমা ব্যবসা শুরু করেন বন্ধুপ্রকাশ।
মামাতো বোন বন্ধুস্মৃতি ঘোষ বলছেন, “বুড়োদা স্ত্রীর নামে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে ব্যবসা করত। সব সংস্থারই কর্তা হত সৌভিক। দাদার বাড়িতে সে সপ্তাহে এক দিন না একদিন আসতই। তবে, গত দেড় মাস ধরে তার কোনও খোঁজ ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy