প্রতীকী চিত্র
শুক্রবার এগারো জনের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পর থেকে বাড়ির বাইরে বেরনো বন্ধ। তার পর গত চার দিন খাবারের সমস্যায় পড়েছেন করিমপুর নাটনা কলোনির চার পরিবারের সদস্যেরা। ওই চার পরিবারের অভিযোগ, পানীয় জল, বাচ্চার দুধ থেকে আনাজ, চাল, ডাল, সবই ঘরে বাড়ন্ত। কিন্তু প্রশাসন বা কেউ তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না।
করোনা আক্রান্ত যুবক পেশায় পাইপ মিস্ত্রি দীপঙ্কর চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, দিনদশেক আগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলা ও লক্ষ্মীপাড়ার বাসিন্দা করোনা পজ়িটিভ হন। তাঁর সংস্পর্শে আসা মহিলাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরের দিন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য তাঁর বৌদির রিপোর্ট করোনা পজ়িটিভ আসে। তাঁকে স্থানীয় সেফ হোমে রাখা হয়। গত শুক্রবার বাড়ির আরও পাঁচ সদস্য-সহ আশেপাশের আরও ছয় জন করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট মেলে। সে দিন থেকে সকলকে বাইরে না বেরনোর জন্য পুলিশ সবাইকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছে। বাড়ির সামনে বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু গত চার দিন ধরে পরিবারগুলি খাবারের সমস্যায় ভুগছে। চাল-ডাল, আনাজের পাশাপাশি পানীয় জলের অভাব হচ্ছে তাদের। দীপঙ্করের অভিযোগ, গত চার দিনে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী বা প্রশাসনের লোকজন কারও কোনও খোঁজখবর নেয়নি। তাঁর বাড়িতে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা ও মা আটকে রয়েছেন। ছয় জনের পরিবারে নয় মাসের এক শিশু ছাড়া সকলের রিপোর্ট পজ়িটিভ।
একই দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছেন তাঁর প্রতিবেশী তুলসী শীল। তাঁরও অভিযোগ, প্রশাসন বা কোনও স্বাস্থ্যকর্মীকে ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছে না। পাশের বাড়ির আরেকটি পরিবারের রাখী চক্রবর্তী বলেন, “করোনা আক্রান্ত সকলেই উপসর্গহীন। রিপোর্ট আসার পর থেকেই বাড়ির বাইরে কেউ যাচ্ছে না। কিন্তু খাবার জোগাড়ের কী হবে, সে ব্যাপারে প্রশাসনের ব্যবস্থা করা উচিত। বড়দের খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের দুধ ও পানীয় জল নিয়েও খুব সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, হোম কোয়রান্টিনে থাকা করোনা আক্রান্ত মঞ্জু বিশ্বাসের ক্ষোভ, ‘‘রিপোর্ট আসার পর থেকেই আশেপাশের সবাই আমাদের অচ্ছুত ভাবতে শুরু করেছে। যা খুব মানসিক ভাবে যন্ত্রণাদায়ক।”
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে করিমপুর ১ বিডিও অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত পরিবারকে সব রকম পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করার জন্য সমস্ত জায়গায় গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া আছে। ওখানে কেন সমস্যা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy