স্মৃতি। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
রানাঘাট-কৃষ্ণনগর বাইপাস থেকে একটা ছোট ঢালাই রাস্তা বেঁকে বাড়ির ভিতরের দিকে চলে গিয়েছে। একতলা পাকা ঘর। সামনে ছোট বারান্দা। ঘর থেকে একটা অ্যালবাম নিয়ে আসেন সমীর মালাকার। কোলের উপর সেটা রেখে একের পর এক ছবি দেখাতে থাকেন স্ত্রী ও পুত্রের। গত মঙ্গলবার ভোরে পথ দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
আরও অনেকের সঙ্গে মুর্শিদাবাদে পিকনিক করতে যাচ্ছিলেন রানাঘাট থানার আঁইশতলা কর্মকারপাড়ার বাসিন্দা সমীরবাবুর স্ত্রী সোমা মালাকার এবং একমাত্র ছেলে সূর্য। তাঁদের গাড়়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়়ে। মৃত্যু হয় ৬ জনের। তাঁদের মধ্যে সোমা ও সুর্য ছিলেন। বাকি চার জন হলেন তাঁর শাশুড়়ি শিলা দাস, শ্যালক সমীর দাস এবং দুই মাসি শাশুড়়ি ইলারানি সরকার ও শিলা মণ্ডল। ফলে চারপাশ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে সমীরবাবুর। তছনছ হয়ে গিয়ছে পরিবার।
তিনি বলেন, “আমি এবং আমার শ্যালক সমীর বেড়াতে যাওয়ার সব পরিকল্পনা করি। এখন মনে হচ্ছে, কেন করলাম। ওদের বেলডাঙা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়়ি ফেরাতে পারলাম না।”
তাঁর বাড়়ি থেকে খানিক দূরে কালিতলায় সমীর দাসের বাড়ি। সেখানে তালা ঝুলছে। তিনি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তান কৃষ্ণনগর এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে। এদিন বিকালে ময়না তদন্তের পর তার দেহ বাড়ি ফেরার কথা। ওই দিন তিনি সবার শেষে মারা গিয়েছিলেন। সেই কারনে গতকাল তার দেহ ময়না তদন্ত করা যায় নি। সেখান থেকে অল্প দূরে বাড়ি ইলারানি সরকারের। তিনি বিয়ে করেননি। মৃত্যু হয়েছে তাঁরও। ভাইপো রাকেশ সরকার তাঁর মুখাগ্নি করেছেন।
এ দিন দুপুরে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস ও কিছু নেতা-কর্মী মৃতদের কয়েক জনের বাড়ি যান। উজ্জ্বলবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায় আমি এখনে এসেছি। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy