Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Berhampur

Fertilizers: সারের দাম রোজ চড়ছে, চিন্তায় চাষিরা

এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়ে ১৬ জন পাইকারি (হোলসেলার) সার ব্যবসায়ীকে সোমবার বহরমপুরে কৃষি ভবনে ডেকেছিল কৃষি কর্তাদের কর্তারা।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:৪৯
Share: Save:

সবে বোরো ধান লাগানো শুরু হয়েছে। দিন পনেরোর মধ্যে ব্যাপক হারে বোরো ধান লাগানো শুরু হবে। এরই মধ্যে মুর্শিদাবাদে রাসায়নিক সারের কালোবাজারি অব্যাহত। মাস দেড়েক থেকে জেলা জুড়ে কৃষকদের কাছে সারের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। কৃষকদের অভিযোগ, সারের খুচরো ব্যবসায়ীরা ডিএপি সারের দাম ৩০-৪০ শতাংশ বেশি চাইছে, ইউরিয়া, পটাশের মতো সারের দাম প্রায় দ্বিগুন চাইছে। যার জেরে সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদিও খুচরো সার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তাঁরা বেশি দামে পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই তাঁরাও বেশি দাম নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়ে ১৬ জন পাইকারি (হোলসেলার) সার ব্যবসায়ীকে সোমবার বহরমপুরে কৃষি ভবনে ডেকেছিল কৃষি কর্তাদের কর্তারা। তাঁদের কড়া হুঁশিয়ারি কোনওমতে সারের বেশি দাম নেওয়া যাবে না। মুর্শিদাবাদের উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) তাপস কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘‘সারের কালোবাজারির অভিযোগে গত কয়েক দিনে ২৬ জন সার ব্যবসায়ীকে শোকজ করা হয়েছে, দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, ১৪ জন সার ব্যবসায়ীর সার বিক্রি আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এ দিন ১৬ জন সারের পাইকারি (হোলসেলার) ব্যবসায়ীকে বৈঠকে ডেকে পরিষ্কার জানানো হয়, সারের দাম কোনও ভাবেই বেশি নেওয়া যাবে না। সারের দাম বেশি নিলেই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

উপ কৃষি অধিকর্তা জানিয়েছেন, সারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা এ দিনের বৈঠকে কৃষি দফতরের কর্তাদের জানিয়েছেন, কোম্পানি সারের দাম বেশি নিচ্ছে, তাই তাঁরা বেশি দামে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে কৃষি দফতরের কর্তারা এদিন জানিয়েছেন, কোনও ভাবেই বেশি দাম নেওয়া যাবে না।
সূত্রের খবর ৪৫ কেজি ইউরিয়া সারের দাম ২৬৬ টাকা। সেখানে জেলা জুড়ে ৪০০ টাকার উপরে সেই সার বিক্রি হচ্ছে। নবরত্নের ৫০ কেজি ডিএপি সারের দাম ১২০০টাকা। সেই সার ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পরশের ডিএপি (ইমপোর্টেড) ৫০ কেজির দাম ১২০০ টাকা। সেই সার ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫০ কেজি পটাশের দাম ৮৫০ টাকা। সেই সার ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার জেরে চরম সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা।

খুচরো সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন ট্রেনিং প্রাপ্ত ডেইজি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের ডোমকলের সভাপতি আনারুল ইসলাম বলেন, ‘‘যে সব হোলসেলার বেশি দাম নিচ্ছে তার তালিকা দিয়ে কৃষি দফতরের অভিযোগ জানানো হয়েছে। তার পরেও সঠিক দাম তাঁরা সার দিচ্ছেন না। যার জেরে আমরা বিপদে পড়েছি। আমরা চাই কৃষকের মতো আমাদেরও নায্য দামে সার দেওয়া হোক।’’

জেলায় ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে জেলায় বোরো ধান চাষ শুরু হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ধান লাগানোর পরিমাণ আর বাড়বে।

আর বোরো ধান লাগানোর সময় থেকেই সারের প্রয়োজন হয়। ধান লাগানোর পরে চাপান সার হিসেবে প্রচুর সারের প্রয়োজন হয়। আর এই সময়ে সারের দাম বেশি নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন মুর্শিদাবাদের কৃষকেরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Berhampur Fertilizer Price Hike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy